বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় নাম। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে শহীদ জেহাদ নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার এই মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু অগণতান্ত্রিক অপশক্তি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই।
তিনি বলেন, এখনো সেই পুরোনো স্বৈরাচার বর্তমান নাৎসীবাদের সঙ্গে মিলেমিশে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে জনগণকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা এখন ক্ষমতাসীন নাৎসীদের মিত্র। দুর্বিনীত শাসনকে স্থায়ীত্ব দেওয়ার জন্য এ সময়ের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখার পর এখন নানা বিধিনিষেধের আওতায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর ওপর এই নিপীড়ণের ঘটনায় প্রমানিত হয় এ দেশে মানবতার অস্তিত্ব চরম ঝুঁকির মধ্যে। শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্তের কুটিল খেলায় গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান দুঃসময়ে নিষ্ঠুর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে কঠিন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবে শহীদ জেহাদের আত্মদান। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ সেদিন স্বৈরাচারীর বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের আজকের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।