ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

উইকিলিকসের ফাঁস করা যেসব তথ্য

ডেস্ক রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-10-04, 12.00 AM
উইকিলিকসের ফাঁস করা যেসব তথ্য

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠা ২০০৬ সালে। এর পর থেকে হাজার হাজার গোপন নথিপত্র ফাঁস করেছে এই অ্যক্টিভিষ্ট সংস্থাটি।যুদ্ধ থেকে শুরু করে, জাতীয় নিরাপত্তা, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কিছুই বাদ যায়নি। এরমধ্যে কিছু ছিল একেবারে দুনিয়া কাঁপানো।তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঁচটি জেনে নিন।

মার্কিন হেলিকপ্টার হামলা

২০১০ সালে উইকিলিকস একটি ভিডিও প্রকাশ করে যাতে দেখা গেছে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে চালানো হামলায় কিভাবে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ভিডিওতে একটি কণ্ঠ শোনা গেছে। সেই কণ্ঠকে বলতে শোনা গেছে, 'সবাইকে জালিয়ে দাও।'

এরপরই বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া হয়।

আহতদের উদ্ধারে একটি গাড়ি এগিয়ে এসেছিলো। সেটিকে লক্ষ করেও গুলি ছোড়া হয়েছিলো।

সেই হামলায় রয়টার্সের একজন আলোকচিত্রী ও তার সহকারী মারা গিয়েছিলো।

মার্কিন সেনা গোয়েন্দার গোপন তথ্য

উইকিলিকস মার্কিন সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং কর্তৃক ফাঁস করে দেয়া বহু তথ্য প্রকাশ করেছে।

সেই তথ্য দেখা গেছে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে শত শত বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে। এরকম বহু হত্যার ঘটনা গোপন রাখা হয়েছে।

ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করার পর তাতে দেখা গেছে ৬৬ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা হয়েছে।

ইরাকি সেনাদের দ্বারা বন্দিদের নির্যাতনের তথ্য এবং মার্কিন কূটনীতিকদের আদান প্রদান করা আড়াই লাখ বার্তা ফাঁস করা হয়েছিলো।

নাইন ইলেভেন পেজার বার্তা

২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার দিন একে অপরের খবর নিতে মানুষজন যেসব পেজার বার্তা প্রদান করেছিলেন তার মধ্যে থেকে প্রায় ছয় লাখ বার্তা প্রকাশ করেছিলো উইকিলিকস। এর মধ্যে ছিল হামলার শিকার ব্যক্তিদের খবর নিতে স্বজনেরা সেদিন যে বার্তা আদান প্রদান করেছিলেন তার কিছু।

ঐ হামলার প্রতি সরকারি নানা দপ্তরের প্রতিক্রিয়াও ছিল।

সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বার্তাটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কিত।

তাতে লেখা ছিল, "প্রেসিডেন্টের গমনপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। তিনি ওয়াশিংটনে ফিরছেন না। তবে কোথায় যাবেন সেনিয়ে তিনি নিশ্চিত নন।"ডেমোক্র্যাটদের ইমেইল বার্তা

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা বিষয়ক প্রধান জন পোডেস্টার ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা কয়েক হাজার ইমেইল ফাঁস করা হয়েছিলো। তাতে ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে মনোনয়নের আগে দলের মধ্যে হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছিলো।

নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে যে বিতর্ক টেলিভিশনে প্রচার করা হয় তাতে সিএনএনের সাংবাদিক হিলারি ক্লিনটনকে একটি প্রশ্ন সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।

এই বিতর্কে প্রার্থীরা কেমন জবাব দিলেন তা ভোটের উপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়।

নির্বাচনের আগে ঠিক যে সময়ে এসব ইমেইল ফাঁস করা হয়েছিলো তাতে উইকিলিকস ইচ্ছাকৃতভাবে হিলারি ক্লিনটনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠে।

সনি পিকচারস হ্যাকিং

২০১৫ সালে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচারস-এর প্রায় দুই লাখ ইমেইল ও কুড়ি হাজার নথি ফাঁস করা হয়েছিলো। সেসব ইমেইলে জানা যায় এনজেলিনা জোলি সহ বিখ্যাত তারকাদের সম্পর্কে কোম্পানিটির প্রোডিউসার কিরকম কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বলেছেন।

সেখানে উঠে আসে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে রাজি না হওয়ায় হলিউড তারকা লিওনার্ডো ডি ক্যাপ্রিওকে কীভাবে গালি দেয়া হয়েছে এবং আমেরিকান হাসল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স ও এমি অ্যাডামসকে পুরুষ অভিনেতাদের তুলনায় কত কম পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে।