পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ফের বাড়ছে চিনা সেনার সংখ্যা। শনিবার লেহ্তে পৌঁছে এই মন্তব্য করলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে। তিনি বলেন, ‘‘গোড়া এলএসি জুড়েই নতুন করে চিনা ফৌজ মোতায়েন করা হচ্ছে। আমাদের কাছে যা উদ্বেগের বিষয়।’’লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের এলএসি-তেও চিনা সেনার সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানান তিনি। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা প্রস্তুত।’’
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ১৫২তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে শনিবার লেহ্ শহরে বিশ্বের বৃহত্তম খাদির জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেনারেল নরবণের পাশাপাশি ওই কর্মসূচিতে ছিলেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর এম কে মাথুর। দু’দিনের লাদাখ সফরে এসে রেজিংলায় সেনার অগ্রবর্তী ঘাঁটিতেও যান জেনারেল নরবণে।
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে সম্ভাব্য চিনা হামলার মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই এম-৭৭৭ এবং কে-৯ বজ্র হাউইৎজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। আমেরিকার বিএই সংস্থার তৈরি ১৫৫ মিলিমিটার (৩৯ ক্যালিবার)-এর এম-৭৭৭ আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর অন্যতম হাতিয়ার ছিল। বিশ্বে এটাই প্রথম ১৫৫ মিলিমিটার কামান, যার ওজন ৪,২১৮ কিলোগ্রামের কম। ফলে হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা যায় সহজেই।
মিনিটে পাঁচ রাউন্ড গোলা ছোড়া যায় এম-৭৭৭ কামান থেকে। পাল্লা সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, সাঁজোয়া গাড়িবাহী ১৫৫ মিলিমিটার হাউইৎজার কে-৯ বজ্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় বানিয়েছে ভারত।