ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

২০-দল ছাড়ল খেলাফত মজলিস

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-10-01, 12.00 AM
২০-দল ছাড়ল খেলাফত মজলিস

বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ২০-দলের অন্যতম শরিক দল খেলাফত মজলিস আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের চাপেই খেলাফত মজলিস জোট বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ছেড়েছে।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের চাপেই তারা জোট ছেড়েছে। আমরা মনে করি, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে অনৈক্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে, এটা তারই অংশ।’

যদিও জোট ছাড়ার কারণ হিসেবে খেলাফত মজলিস ২০১৯ সাল থেকে জোটের দৃশ্যমান তৎপরতা ও কর্মসূচি না থাকা এবং ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০-দলীয় জোটকে অকার্যকর করার অভিযোগ করেছে।এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা তো জোটের অংশ। তাহলে তারা কেন কাজ করেনি। জোটে আমরাও (বিএনপি) একটি পার্টি, তারাও একটি পার্টি। এখানে সবারই কাজ করার অধিকার রয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার কারণে তারা জোট ছাড়ছে, এটি কোনো কারণ হতে পারে না।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন ২০-দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। দলের আমিরের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এখন থেকে খেলাফত মজলিস ২০-দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজনৈতিক জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০-দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে জোটের দৃশ্যমান তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০-দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করা হয়। এমতাবস্থায় মজলিশে শূরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল স্বকীয় ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০-দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসাইন, মজদুদ্দিন আহমেদ, আবদুল বাসিত ও আহমদ আলী কাশেমী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব মুনতাসীর আলী,আবদুল জলিল ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। তিনি গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পাঁচ মামলার আসামি হয়ে এখন কারাগারে। খেলাফত মজলিসের জোট ছাড়ার পেছনে এটাও একটি কারণ বলে আলোচনা আছে। এর আগে গত ১৪ জুলাই বিএনপি জোট ছাড়ে কওমি আলেমদের পুরোনো দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। সহিংসতার মামলায় জমিয়তের ৬০ জন নেতা-কর্মী আসামি হন। এর মধ্যে ২৯ জন গ্রেপ্তার হন। দলটির নেতারা ১৪ জুলাই সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসার কয়েক ঘণ্টা পর জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপি-জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই জমিয়তের নেতারা জামিনে মুক্তি পেতে শুরু করেন।

খেলাফত মজলিস ২০-দলীয় জোটে থাকা একমাত্র নিবন্ধিত ইসলামি দল। এর বাইরে যে কয়টি ইসলামি দল জোটে আছে, সেগুলো মূলত এর আগে বেরিয়ে যাওয়া দলগুলোর খণ্ডিত অংশ। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট (আবদুর রকিব) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজনৈতিক জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০-দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে জোটের দৃশ্যমান তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০-দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করা হয়। এমতাবস্থায় মজলিশে শূরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল স্বকীয় ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০-দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসাইন, মজদুদ্দিন আহমেদ, আবদুল বাসিত ও আহমদ আলী কাশেমী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব মুনতাসীর আলী,আবদুল জলিল ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। তিনি গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পাঁচ মামলার আসামি হয়ে এখন কারাগারে। খেলাফত মজলিসের জোট ছাড়ার পেছনে এটাও একটি কারণ বলে আলোচনা আছে। এর আগে গত ১৪ জুলাই বিএনপি জোট ছাড়ে কওমি আলেমদের পুরোনো দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। সহিংসতার মামলায় জমিয়তের ৬০ জন নেতা-কর্মী আসামি হন। এর মধ্যে ২৯ জন গ্রেপ্তার হন। দলটির নেতারা ১৪ জুলাই সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসার কয়েক ঘণ্টা পর জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপি-জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই জমিয়তের নেতারা জামিনে মুক্তি পেতে শুরু করেন।

খেলাফত মজলিস ২০-দলীয় জোটে থাকা একমাত্র নিবন্ধিত ইসলামি দল। এর বাইরে যে কয়টি ইসলামি দল জোটে আছে, সেগুলো মূলত এর আগে বেরিয়ে যাওয়া দলগুলোর খণ্ডিত অংশ। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট (আবদুর রকিব) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (মনসুরুল হাসান) আরেকটি অংশ ২০-দলীয় জোটে থাকলেও তাদের নিবন্ধন নেই।

১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট নিয়ে চারদলীয় জোট গঠিত হয়। এখন সেই জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াত ছাড়া আর কোনো দল নেই। এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সর্বশেষ খেলাফত মজলিস জোট ছাড়ে।