পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে রোম সফরের অনুমতি দেয়নি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার গভীর রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এই অনুষ্ঠান একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।আগামী ৬ এবং ৭ অক্টোবর রোমে ওই কর্মসূচি হওয়ার কথা। ইতালির একটি বেসরকারি সংগঠন ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা। তারা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল, পোপ ফ্রান্সিস এবং ইতালির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাদের সঙ্গেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও।
সেই আমন্ত্রণ মমতা গ্রহণও করেছিলেন। তার সফরসূচিও চূড়ান্ত করা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনের পর তিনি রোম সফরে যাবেন। তার সব প্রস্তুতি যখন শেষের দিকে তখনই আচমকা এই চিঠি এলো।
কেন এই সফরের অনুমতি দেওয়া হলো না তার আনুষ্ঠানিক কারণ যা-ই দেখানো হোক না কেন, তৃণমূলের একটি মহল মনে করছে, এর পিছনে ‘রাজনৈতিক কারণ’ রয়েছে। দলের নেতাদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক পর পরই মমতা ইউরোপ সফরে গেলে তা বেশ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হতো। বিশেষ করে ওই কর্মসূচিতে মমতার সঙ্গেই থাকবেন অর্থডক্স খ্রিস্টান চার্চের প্রধান। থাকার কথা কায়রোর গ্রেট ইমামেরও।
তাদের উপস্থিতিতে মমতা রাজনৈতিক ভাবে দেশের বর্তমান শাসকদলকে বিভিন্ন কারণে আক্রমণ করলে তা কেন্দ্রের পক্ষে ‘বিড়ম্বনা’ তৈরি করবে। সে কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একেবারে শেষ মুহূর্তে মমতাকে রোম সফরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাদের বক্তব্য, বিষয়টি একেবারেই ‘রাজনৈতিক’। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হচ্ছে, ওই কর্মসূচিতে যাওয়াটা ভারতের একজন মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়।
যে সংগঠনের পক্ষ থেকে মমতাসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেটির বয়স ৫৩ বছর। সারাবিশ্বের ৭০টি দেশে তাদের সদস্য রয়েছেন। সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। সমাজের বিভিন্ন পরিসরে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে।