ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

গাউনে বদলে গেলেন চেনা মিথিলা

dh

2021-09-17, 12.00 AM
গাউনে বদলে গেলেন চেনা মিথিলা

 পুজো মানেই নিজেকে নতুন ভাবে সাজানো। সাজ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার এর চেয়ে ভাল সময় আর কী হতে পারে? যাঁরা সোজগোজ পছন্দ করেন, সেই তালিকায় রয়েছেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলাও। বাঙালি শাড়ির বদলে অন্য ‘লুক’-এ ধরা দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। সেই সাজ ক্যামেরাবন্দি করল আনন্দবাজার অনলাইন।

কেবল তো অভিনেত্রী নন তিনি। একাধারে শিক্ষিকা, সমাজসেবী, অভিনেত্রী, মা, স্ত্রী। তার নানা রূপ ধরা পড়ল ফোটোশ্যুটের দিন। কখনও মা হিসেবে তাঁর কন্যার দুপুরবেলার খাওয়ার খোঁজ নিচ্ছেন, কখনও বা ক্যামেরার সামনে মোহময়ী। কখনও কখনও পড়াশোনা নিয়েও কথা বলছেন মিথিলা। সৃজিত, আয়রা, মিথিলা এবং তাঁদের সংসারের ঝলক মিলল আনন্দবাজার অনলাইনের ফোটোশ্যুটে।
সৃজিতের বাড়ির স্টুডিয়ো এবং ছাদে মিথিলার ছবি তোলা হয়েছে। ফোটোশ্যুট শুরু হওয়ার আগে
সৃজিতের বাড়ির স্টুডিয়ো এবং ছাদে মিথিলার ছবি তোলা হয়েছে। ফোটোশ্যুট শুরু হওয়ার আগে সকালবেলা নিজে হাতে সকলের জন্য চা করে আনলেন মিথিলা। লেবু চা খেয়ে কাজে নেমে পড়লেন সকলে। চলল মিথিলার মেকআপ। অন্য দিকে প্রস্তুত করা হল চারটি পোশাক। ক্যামেরাও তৈরি।

শুরু হল ফোটোশ্যুট। মিথিলা জানালেন, তিনি সাধারণত ফোটোশ্যুট করান না। পড়াশোনা, সংসার, সন্তান পালন, অভিনয়, ইত্যাদির জন্য সময় হয় না তাঁর। কিন্তু আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য ছবি তোলানোর সময়ে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা নজরে এসেছে প্রতি মুহূর্তে।

ফোটোশ্যুট চলাকালীন মিথিলা-কন্যা আয়রা এবং সৃজিতের ভাগ্নি স্পন্দনা মাঝে মাঝেই স্টুডিয়োতে এসে দেখা দিয়ে যাচ্ছিল। শুধু তা-ই নয়, খুদে আর কিশোরী তাঁদের মতামতও প্রকাশ করছিল। তাদের উপস্থিতি শ্যুটকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলছিল।
শ্যুটের মাঝে বিকেলবেলা আচমকা কর্তার হাজিরায় সকলেই চমকে ওঠেন। সে দিনই মুম্বই থেকে ফিরেছেন তিনি। কন্যা এবং ভাগ্নির পিছু ধরে তিনিও তাঁর স্ত্রীর ফোটোশ্যুটে এসেছিলেন। মিথিলার লম্বা গাউন দেখে মশকরা করে বললেন, ‘‘এই পোশাক তো পুরো হাওড়া ব্রিজ।’’ আরও নানা বিষয়ে ঠাট্টা করতেই মিথিলার বকা খেয়ে নীচের তলায় চলে গেলেন সৃজিত।

সকাল এবং দুপুরে হ্যাম স্যান্ডউইচ, চিকেন স্যান্ডউইচ, পোহা, কবাব খাওয়া হল সকলে মিলে। মিথিলা জানালেন, তাঁর পরিবারের কেউই খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনও দিন বায়না করে না।
ছাদে গিয়ে শ্যুট শুরু হল। লঙ্কা গাছ, শাক গাছের সঙ্গে বিভিন্ন রং বেরঙের ফুল গাছও বড় করা হচ্ছে ছাদে। বাড়ির গাছের শাক এবং লঙ্কা দিয়েই রান্না হয়— জানালেন মিথিলা।

ছাদে গিয়ে শ্যুট শুরু হল। লঙ্কা গাছ, শাক গাছের সঙ্গে বিভিন্ন রং বেরঙের ফুল গাছও বড় করা হচ্ছে ছাদে। বাড়ির গাছের শাক এবং লঙ্কা দিয়েই রান্না হয়— জানালেন মিথিলা।

কিন্তু চড়া রোদে বেশি ক্ষণ ছাদে অপেক্ষা করা গেল না। ফের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টুডিয়োই সকলের আস্তানা। আড্ডা মেরে কাজ করতে করতে যে কখন বিকেল হয়ে গেল, বোঝাই যায়নি।

কিন্তু চড়া রোদে বেশি ক্ষণ ছাদে অপেক্ষা করা গেল না। ফের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টুডিয়োই সকলের আস্তানা। আড্ডা মেরে কাজ করতে করতে যে কখন বিকেল হয়ে গেল, বোঝাই যায়নি।

মিথিলাকে সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন কলকাতার তারকা-স্টাইলিস্ট সন্দীপ জয়সওয়াল। তিনি মোট চারটি পোশাকে সাজিয়ে তুলেছিলেন মিথিলাকে। সন্দীপ বললেন, ‘‘মিথিলাকে এক ধরনের ‘লুক’-এ দেখে এসেছে সকলে। তাই ভাবলাম, হট প্যান্ট, গাউন বা নেটের শাড়়িতে সাজালে কেমন লাগে? আর তাই এই চার রকম পোশাক বেছে নিয়েছি।’’

মেরুন রঙের ড্রেপ রেড কার্পেট গাউন এবং ধূসর-নীল নেটের শাড়ির সৌজন্যে ‘ইউভ ইন্ডিয়া’। নেটের কালো শা়ড়িটি মিথিলার নিজের আলমারি থেকে বার করা। সন্দীপের সংগ্রহ থেকে এসেছিল সাদা শার্ট, হট প্যান্ট, ডেনিম বিকিনি টপ।