ঢাকা, বুধবার ৮ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে স্বীকার ভারতের

আন্র্তজাতিক রিপোর্ট।।নিউজফক্স২৪.কম

2021-09-13, 12.00 AM
ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে স্বীকার ভারতের

ভারতের তরফে এই প্রথম আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকা শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তালেবানকে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে, তালেবান আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দখল করেছে। একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে একটি দেশের সরকার হিসেবে তালেবানকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। যাদের মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নতুন সরকার তৈরির ঘোষণা করে তালেবান। ইতিমধ্যেই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনও সেই পথে হাঁটেনি। ভারত আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। সে দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য দিল্লির কাছে।

সূত্র মারফত ভারতীয় মিডিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, গত সপ্তাহে তালেবান সরকারের ঘোষণার পর থেকে লাগাতার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দিল্লি। একটানা কয়েকদিন আলোচনার পরে শুধুমাত্র একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি ভারতের।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পাশাপাশি ঘোর উদ্বেগে অস্ট্রেলিয়াও। ইতিমধ্যেই ভারতে এসে সেকথা ব্যক্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার তরফে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। দুই দেশের তরফেই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রীরা। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের বেরোতে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে তালেবানকে, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এরই পাশাপাশি যে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন তাদেরও সেই সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নারীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে অনেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাদের ওপর দমন-পীড়নের নীতি নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি তুলেছে দুই দেশ। যৌথ বিবৃতিতে আফগানিস্তানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথোপযুক্ত একটি সরকার তৈরিরও দাবি জানানো হয়েছে। তালেবান আফগানিস্তানের দখল হাতে নেওয়ার পর থেকে সে দেশে একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে, আফগানিস্তানের সনদে তালেবানের বসার বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরে। তালেবানের উত্থানের ফলে ভারতের অনুপ্রবেশের ঘটনা আরও বাড়তে পারে, মূলত প্রভাবিত হতে পারে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত। তাই সেই বিষয়েও নজরদারি বাড়াতে ভারতীয় স্থল বাহিনীর কয়েকটি বিভাগকে এই বিষয়ে কৌশল আরও মজবুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বদলাতে বলা হয়েছে রণনীতিও। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সশস্ত্র সীমা বল, সিআরপিএফ ও জঙ্গি মোকাবিলার কাজে যুক্ত রাজ্যের বিশেষ বাহিনীগুলোকে তালেবান প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে কোনও কোনও রাজ্যপুলিশকেও এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই।