২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে ভুল করেছে, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে বিএনপি আরও ছোট হয়ে যাবে। যেটা তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। বিএনপি বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কোনো নির্বাচনও বাংলাদেশে হতে দেবে না। দলটির এ শতর্কবাণীর বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ ধরনের কথা ২০১৪ সালের বহু আগে থেকেই বলে আসছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। সে সময় তারা ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ছাত্রছাত্রীদের নতুন বই পুড়িয়ে দিয়েছে। কারণ স্কুলগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আর সেখানে রক্ষিত ছিল বইগুলো।
তিনি আরও বলেন, সেই বই জ্বালিয়ে দিয়েছে বহু মানুষকে হত্যা করেছে, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। এরপরও তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, দেশে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালেও নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখনও তারা এ ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের শুরুতে তারা বানচালের দিকে না গিয়ে, শুরু থেকে সিরিয়াসলি নিয়ে অংশগ্রহণ করত, তাহলে হয়তো তারা আরও ভালো ফলাফল করতে পারত। বর্তমানে বিএনপির একই তর্জন-গর্জন শোনা যাচ্ছে, যখন নির্বাচনের বাকি সোয়া দুই বছর। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা যে ভুল করেছে, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে বিএনপি আসলে ছোট হয়ে আসছে, আরও ছোট হয়ে যাবে। যেটা তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে। যেটি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে হয়েছিল।
ইউটিউবে যে পরিমাণ অশ্লীল কনটেন্ট দেখানো হয়, একই সঙ্গে রাষ্ট্রসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়, সেগুলো বন্ধ করার কোনো সুযোগ আছে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলোর সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসকল প্ল্যাটফর্মে দেখানো হয় সেসকল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে বলা হয় অনেক ক্ষেত্রে সারা পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে সারা পাওয়া যায় না। সে কারণে আমরা আরও জোড়ালো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে আলোচনায় আছি। অনেকটা এগিয়ে এসেছে আমরা আশায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকসহ অন্য প্লাটফর্মকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে তাদের অফিস খোলার জন্য। বাংলাদেশে যখন এ সকল কোম্পানি নিবন্ধিত হবে, তখন বাংলাদেশের আইনানুযায়ী এ সমস্ত কনটেন্ট বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনেকটা সহজ হবে। এ ধরনের কনটেন্ট সরানো বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর হবে।