আফগানিস্তানের মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন, তবে ছেলেদের সঙ্গে এক কক্ষে বসে নয় বলে জানিয়েছে তালেবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি ৷কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের নতুন শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, আফগান নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পড়তে পারবেন। তাঁদের হিজাব পরতে হবে। তবে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
হাক্কানি বলেন, নারীদের প্রতি, তাদের মনোভাব গত ২০ বছরে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে আমরা ছেলে ও মেয়েদের একসঙ্গে ক্লাস করার অনুমতি দেব না ৷ সহশিক্ষার অনুমতিও দেওয়া হবে না ৷
গত সপ্তাহে তালেবান সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত ও কট্টর নেতাদের নিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করে। সেই সরকারে কোনো নারী কিংবা অন্য কোনো গোষ্ঠীর সদস্য স্থান পাননি। এর মধ্যেই শিক্ষার বিষয়ে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করল তালেবান। এর আগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে তালেবান। এর মাধ্যমে এই গোষ্ঠী আফগানিস্তানে তাদের শাসন শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তালেবান নেতা আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, লিঙ্গ বিভাজনও কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, যেখানেই সম্ভব নারী শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীদের পড়ানো হবে।
আল্লাহকে ধন্যবাদ আমাদের নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বেশি। এর ফলে আমরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হব না। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষক খুঁজে বের করার জন্য সকল প্রচেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
হাক্কানি বলেন, যে বিষয়গুলো পড়ানো হচ্ছে সেগুলোও পর্যালোচনা করা হবে।তিনি আরও বলেন, দেশে যা বিদ্যমান রয়েছে, তা দিয়েই আমরা দেশ গঠনের কাজ শুরু করব। আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পঠনপাঠন বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে চান বলে জানান আফগান শিক্ষামন্ত্রী।