চাঁদাবাজির খবর জানতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হন নারী। একবার শ্লীলতাহানির পর পুনরায় ওই নারীকে বাসায় ডাকেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়ে আপাতত রক্ষা হয় ওই নারীর।এই মামলায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা এজাহার থেকে এ তথ্য জানা যায়। নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী উল্লেখ করে সবুজবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এজাহার গ্রহণ করেন। এরপর সবুজবাগ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আসলাম আলীকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করতে ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান।
চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের দিন আবার সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই নারী হ্যাঁ বলে কোনোরকমে নিজেকে রক্ষা করে বের হয়ে আসেন।তবে চিত্তরঞ্জন দাস এ অনৈতিক ও আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, একটি নাটকের জন্য রিহ্যারসাল হিসেবে দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিল।