আমেরিকার সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার পরেই দ্রুত সরকার গঠন করতে চাইছে তালিবান। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আফগানিস্তানে ইরানের ধাঁচেই সরকার গড়তে চাইছে তারা। অর্থাৎ গোষ্ঠীর প্রধানই হবেন দেশের সর্বোচ্চ নেতা। প্রেসিডেন্টের থেকেও বেশি ক্ষমতা থাকবে তাঁর। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সব সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। আর এই পদের জন্য উঠে আসছে তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদার নাম।
তালিব যোদ্ধারা কাবুল দখল নিলেও এখনও পর্যন্ত সর্বসমক্ষে দেখা যায়নি আখুন্দজাদাকে। তালিবান দাবি করেছে, কন্দহরে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। গত চার দিন ধরে কন্দহরে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন তালিবানের শীর্ষনেতারা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সরকার গঠন হলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের। কাবুলে ক্ষমতা হস্তান্তর থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত তালিবানের প্রধান মুখ হিসাবে তাঁকেই দেখা গিয়েছে। তাঁর অধীনে অন্যান্য দফতরের দায়িত্ব সামলানোর জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাম সামনে এসেছে।
তালিবানের সরকার গঠনের পথে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্জশির। এই প্রদেশ এখনও দখল করতে পারেনি তালিবান। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স সেখানে প্রতিরোধ গড়েছে। বেশ কয়েক বার পঞ্জশির দখল করতে গিয়ে খালি হতে ফিরে আসতে হয়েছে তালিবান সেনাকে। যে ভাবেই হোক দুর্গম এই প্রদেশ দখল করতে চাইছে তারা। যদিও তার মধ্যেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পথে তালিবান।