ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

আইএস-খোরাসানে যোগ দিয়েছে ১৪ ভারতীয়

আন্র্তজাতিক রিপোর্ট।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-08-28, 12.00 AM
আইএস-খোরাসানে যোগ দিয়েছে ১৪ ভারতীয়

কাবুল বিমানবন্দরে হামলার পর নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের (আইএসকে) নাম। গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের ফটকে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠনটি, যাতে প্রাণ গেছে ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১৭৫ জনের। আইএসকে আফগানিস্তানে আরও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এই জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, আইএস খোরাসানে যোগ দেওয়া ওই ১৪ জন কেরালার বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন বাগরাম কারাগারে বন্দি ছিলেন। তালেবান বাগরাম দখল করে বন্দিদের মুক্তি দিলে ছাড়া পান ওই ভারতীয়রাও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আইএসকেতে নাম লেখানো ১৪ ভারতীয়র মধ্যে একজন তার বাড়িতে যোগাযোগ করেছেন। বাকিরা এখনো কাবুলে অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে রয়েছেন।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, কেরালাবাসী জঙ্গিদের ব্যবহার করে ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে পারে আইএস।

এদিকে, শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে পূর্ব আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারীকে’ হত্যার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে এ ড্রোন হামলা হয়েছে। প্রাথমিক ইঙ্গিত বলছে, আমরা টার্গেটকে হত্যা করেছি। সেখানে বেসামরিক কেউ হতাহত হওয়ার খবর জানি না।

কারা এই আইএসকে?
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কাবুলে হামলা চালানো সংগঠনটির পুরো নাম ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান বা আইএসকেপি, সংক্ষেপে আইএসকে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আঞ্চলিক শাখা হিসেবে কাজ করছে তারা। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চলটি প্রাচীন আমলে খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। আইএসকে এ দুটি দেশেই সক্রিয় বলে জানা যায়।

কয়েক বছর ধরে নানা সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর, এমনকি হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছিল।

ধারণা করা হয়, তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসকে’র সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। আইএসকে’র অভিযোগ, গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে। এ জঙ্গি সংগঠনটি এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আগামীতে তালেবান সরকারের জন্যেও অশনিসংকেত।