আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) খোরাসান। কারা এই গোষ্ঠী? তালেবানের সঙ্গে তাদের বিরোধ কেন?বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে প্রায় একশ মানুষ নিহত হয়েছেন।নিহতেদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা ও তালেবান রক্ষীরাও আছেন। মার্কিন সেনা এবং যুক্তরাজ্যের সেনা আগে থেকেই ইসলামিক স্টেট খোরাসান নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। তারা বলেছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এই গোষ্ঠী শক্তি বাড়াচ্ছে। যে কোনো সময় তারা হামলা চালাতে পারে।
তালেবানও ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে ঠেকাতে বিমানবন্দরের বাইরে চেকপোস্ট তৈরি করেছিল।
বলা হয়ে থাকে, আইএস জঙ্গিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইসলামিক স্টেট খোরাসান। মধ্যযুগে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে খোরাসান প্রদেশ বলা হতো। সেখান থেকেই খোরাসান শব্দটি নিয়েছে এই গোষ্ঠীটি।
তারা মনে করে, আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে তালেবান সমঝোতা করেছে। সে কারণেই তারা তালেবানকে এখন পছন্দ করছে না। তালেবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর এই আইএস খোরাসানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের কিছু জঙ্গি তালেবানের হাতে মারা পড়েছে।
এছাড়া মতাদর্শগত বিভেদের কারণে দুউ গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু থেকেই মিল নেই। তালেবান ইসলামের দেওবন্দি মতে বিশ্বাসী। আর ইসলামিক স্টেট বিশ্বাস করে সালাফি আন্দোলনে।
মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, কাবুলে আইএস খোরাসানের প্রায় দেড় হাজার সদস্য জড়ো হয়েছে। তারা ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সদস্য সংখ্যা হাজার দশেক।