ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই মিথ্যা। সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা তদন্ত করেন। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আদালতে শুনানি শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরীমনি। এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পরীমনি ও রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।এ ঘটনায় পরের দিন পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুইটি মামলা করে র্যাব।