ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

অসহায় পিতার পাশে দাঁড়ালেন ডিআইজি

জেলা সংবাদদাতা।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-07-13, 12.00 AM
অসহায় পিতার পাশে দাঁড়ালেন ডিআইজি

বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস.এম আক্তারুজ্জামান। যিনি সর্বশেষ রাজশাহী সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে তিনি বরিশাল ও পিরোজপুরের জেলার পুলিশ সুপার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি মানবিক পোস্ট দেখে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আলামিন আকন নামে এক দিনমজুর পিতাকে সহযোগিতা করে প্রশংসায় ভাসছেন রেঞ্জের উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস.এম আক্তারুজ্জামান। তার আর্থিক সহায়তা ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় শিশু পুত্রের সু-চিকিৎসাসহ ওষুধ ক্রয় করতে পেরেছেন অসহায় ওই দিনমজুর পিতা আলামিন আকন। তিনি উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ও রেঞ্জ ডিআইজিসহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে সুবিধাভোগী দিনমজুর আলামিন আকন জানান, কঠোর লকডাউনের কারণে তিনি কর্মহীন হয়ে পরায় তার পক্ষে শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের চাহিদানুযায়ী টাকা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার এই মহতি উদ্যোগে আমি আমার সন্তানের সু-চিকিৎসা করাতে পেরেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার (১২ জুলাই) সকালে তার ৩ বছরের শিশু পুত্র শাহজালাল পা পিছলে পড়ে গেলে পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে যায়। এ অবস্থায় আহত শিশু পুত্রকে চিকিৎসার জন্য বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর প্রথমে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে এক্সরে করা হয়। পরে চিকিৎসক শিশুর ভাঙ্গা পা ব্যান্ডেজ করার জন্যই ৭শ’ টাকা দাবি করেন। পুরো ঘটনা জানার পর স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।

বিষয়টি বরিশালের রেঞ্জের উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস.এম আক্তারুজ্জামানের নজরে আসে। এরপরই তিনি তাৎক্ষনিক শিশুটির চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ওসি হাসপাতালে পৌঁছে শিশু শাহজালালের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে লেখা ওষুধও রেঞ্জের উপ পুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) পাঠানো অর্থে ক্রয় করে দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তার এমন মানবিকতাকে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।