সাত দিনের কঠোর লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন। ছুটির দিন ও ঝিম ঝিম বৃষ্টি থাকায় রাস্তা ঘাটে তেমন যানবাহন দেখা যায় নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বৃষ্টির মধ্যে পুলিশ সদস্যরা ছাতা মাথায় দিয়ে মানুষদের কাছ থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছেন। গতকয়েকদিন ধরে মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেট গাড়ির দৌরাত্ম থাকলেও আজকে তেমনটি দেখা যায় নি। তবে রিকশা কিছু দেখা গেলেও ছিল না চোখে পড়ার মত। কিছু কিছু চেকপোস্টে বৃষ্টির কারণে পুলিশ সদস্যদের দূর থেকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
সরজমিনে শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সারণি, হ্যালিপেড, মহাখালী চেকপোস্ট গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার মাঝখানে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে একটার পর একটা গাড়ি থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছে। বাইরে বের হওয়ার সঠিক কারণ যারা জানাতে পারছে তাদের গাড়ি ব্যারিকেড পার হয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। অপরদিকে যারা জরুরি কোন কারণ দেখাতে পারছে না তাদের গাড়ি ফেরত যাচ্ছে।
ফার্মগেট পুলিশ বক্সের সামনে দায়িত্ব পালনরত সার্জেন্ট দূর্জয় হাসান বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি এবং ছুটির দিন হওয়ার মানুষ রাস্তায় কম বের হয়েছে। আমারা আমদের দায়িত্ব অনুযায়ী কম বেশি সব গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করছি। প্রয়োজন জেনে এবং বের হওয়ার নিশ্চিত কারণ জেনে আমরা গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি, অপ্রয়োজনীয় ভাবে কেউ বের হলে আমরা তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করছি কাউকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছি। অহেতুক বের হওয়া এবং উলটা পথে বের হওয়ায় আমরা একজন কে জরিমানা করেছি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। সকাল থেকে মানুষজন কম থাকলেও বিকেলের দিকে মানুষ এবং গাড়ির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে।
মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীদের ক্ষেত্রে আমরা আগের মতই কড়া নজর রাখছি। তবে গতকালের মত আজকে তেমন মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহী দের দেখা যায় নি। প্রয়োজন এবং সঠিক কারণে যারা বের হচ্ছে তাদেরকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।