ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

ছয় মাসে ৭৬৭ নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ১০৩৯ শিশু

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-06-30, 12.00 AM
ছয় মাসে ৭৬৭ নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ১০৩৯ শিশু

জানুয়ারি থেকে জুন- এই ছয় মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৬৭ জন নারী এবং নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে ১০৩৯ জন শিশু।বুধবার (৩০ জুন) আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ সংখ্যা কত প্রতিবেদনটি দশটি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ওয়াসিফ এর নিজস্ব উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। দেশে গত ছয় মাসে ৭৬৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে একক ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬১১ জন, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫৬ জন নারী। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৪ জনকে এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ৫ জন নারী। এই ছয় মাসে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ঘটেছে ১৬৬ টি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তথ্য মতে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছয় মাসে দেশে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৬৪ জন নারী, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন পুরুষ যাদের মধ্যে ৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২ জন নারীও হত্যার শিকার হন।

তারা জানায়, নারী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির সাথে বেড়েছে পারিবারিক নির্যাতন ও হত্যা। গত ৬ মাসে সারাদেশে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৫০ জন নারী। যাদের মধ্যে স্বামী, পরিবার কর্তৃক হত্যার শিকার ২১০ জন এবং পারিবারিক নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা করেছেন ৭৮ জন নারী।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছয় মাসে দেশে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১০৩৮ জন শিশু। এদের মধ্যে ৭২২ জন শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতন, ৩১৭ জন শিশু হত্যা শিকার হয়েছে। সর্বমোট ১০৩৯ জন শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২০ জন শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ৫১ জন, এবং বলাৎকারের শিকার ৫০ জন ছেলে শিশু। উত্যক্ত করন, গৃহকর্মী ও শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২০৯ জন শিশু।

আসক আরও জানায়, গত ছয় মাসে ২৫ জন গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ১০ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, মানবাধিকার লংঘন ও প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার অত্যাবশ্যকীয়। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে আসক সরকারের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।