ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

'বিএনপির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র বিকাশে বড় বাধা'

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-06-14, 12.00 AM
'বিএনপির ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র বিকাশে বড় বাধা'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।সোমবার (১৪ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সৈনিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের রাজনীতিতে পারস্পরিক যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে তা হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত ছিলো না এবং বেগম জিয়াকেও কখনো হত্যার ষড়যন্ত্র করেনি।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সহবস্থানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন তা বিএনপি বড় বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অদৃশ্য শত্রু করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিষয় মাথায় রেখে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্র রক্ষার পাশাপাশি দলের কর্মীদের বাঁচাতে হবে।

ওবায়দুল কাদের সৈনিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক না হতে পারলে সৈনিক লীগ করে কোনো লাভ হবে না।

তিনি সৈনিক লীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সৈনিক লীগের সম্মেলনের পর দলটিকে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম অথবা সহযোগী সংগঠন করা হতে পারে।

সৈনিক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিসেস শিরীন আহমদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সৈনিক লীগের নেতৃবৃন্দ।