লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।তিনি জানান, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মােটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
এই অবস্থায় রোববার (১৩ জুন) সকাল নাগাদ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা দমকায় ২৫ কিলোমিটার ওঠে যেতে পারে। সোমবার (১৪ জুন) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
শনিবার (১২ জুন) দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার, ঢাকায় ৩০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলীতে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।