ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

নেতাকর্মীদের ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতির আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-06-10, 12.00 AM
নেতাকর্মীদের ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতির আহ্বান

নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনের জন্য দলকে ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ‍উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন আর সময় নাই। আগামী দিনের জন্য নিজেদের তৈরি করে ফেলেন। শক্ত হয়ে দাঁড়াই আমরা। জনগণকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসি। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। দাবি একটাই- চলে যাও, চলে যাও, রেহাই দাও বাংলাদেশকে। আমাদের  পরিষ্কার কথা, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তা হলে না হলে এই বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয় তারা তা জানে।

ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওদের একজন এমপি কিছুদিন আগে পার্লামেন্টে বলেছেন, বড় চোরদের চুরি দেখে ছোট চোররা এখন লজ্জা পাচ্ছে। বড় চোর হচ্ছে ওদের মন্ত্রী, বড় বড় নেতারা। করোনা মানুষের জীবন নিয়ে যাচ্ছে, মানুষের জীবনের প্রশ্ন, বাঁচার প্রশ্ন, মরার প্রশ্ন। সেখানেও তারা চুরি করছে। টেস্টে চুরি, মাস্কে চুরি, পিপিইতে চুরি, ডাক্তার-নার্সদের টাকা দেয়ার বেলা চুরি, আইসিইউ বেডে চুরি। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল চুরি, একটা হাসপাতাল নাই, উদাও হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, চারিদিকে আপনাদের আশে-পাশে তাঁকিয়ে দেখবেন- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বড় নেতা, ছোট নেতা, পাতি নেতা, সব আছে না? তাদের চলাফেরা, চালচলন দেখেছেন আপনি, নিশ্চয় দেখেন। রাতারাতি সব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। এদের হাতে যদি দেশ বেশি দিন থাকে এই দেশের অস্তিত্ব থাকবে না, এদেশ টিকবে না। ছোট বেলা আমরা পড়তাম, গানও শুনেছি- ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে। এই সেই বর্গী এরা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদের ভয়ে সব পালিয়ে যাচ্ছে এখন। কাউকে কোনো কথা বলতে দেবে না। কথা বললেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট। আর বেশি কথা বললে আমাদের নিপুণ রায় চৌধুরীর মতো একটা মিথ্যা অডিও ক্লিপ তৈরি করে তাকে নাশকতার মামলায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এরকম নজির অসংখ্য। সাংবাদিক ভাইয়ের কিছু শক্ত করে লেখতে পারে না। আমি তাদের দোষারোপ করি না, বরঞ্চ সহমর্মিতা প্রকাশ করি। কারণ লিখলে তো জেল, লিখলেই তো মামলা, লিখলেই তো ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, মেরেও ফেলতেছে, হত্যাও করতেছে।

জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ দলের নেতা-কর্মীদের জন্য ‘গর্ব’ উল্লেখ করে তা অনুসরণ করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।