ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

ক্ষমতার দাপটে অপরাধী যেন ছাড় না পায়

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-06-05, 12.00 AM
ক্ষমতার দাপটে অপরাধী যেন ছাড় না পায়

গুলশানের ফ্ল্যাটে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবি ওঠেছে এক সমাবেশ থেকে। তাঁরা বলছেন, ওই ঘটনার মামলার আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রেপ্তার না হয়ে জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে আসামি যেন ছাড় না পায়।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের এক ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। আজ মামলার আসামির বিচারের দাবিতে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে আইনজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, প্ররোচনায় যদি কেউ আত্মহত্যা করে, তাহলে প্ররোচনাকারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইনে মামলা হোক। মামলার পদ্ধতি অনুযায়ী তিনি যে–ই হোন, তাঁকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা যেটা দেখছি, কেউ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাচ্ছে। তখন এখানকার আইন, আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্র, সরকারের ভূমিকা নিয়ে একধরনের সন্দেহ, হতাশা ও ক্ষোভ মানুষের মধ্যে হয়।’
বিজ্ঞাপন

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে, নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হলে, ন্যূনতম আইনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাধা দূর করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, অভিযুক্ত যে–ই হোক না কেন, রাষ্ট্রের কাজ অভিযোগ তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা। অতি দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হোক, সঠিক তদন্ত করা হোক।

এরপর বক্তব্য দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটি গুরুতর অন্যায়, একজন মানুষ খুন হয়েছে, আর আসামি ক্ষমতার-অর্থের দাপটে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ–জাতীয় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হলে আপনারাও (সাংবাদিকেরা) একদিন অন্যায়ের শিকার হবেন। একদল সাংবাদিক আবার তাঁকে সংবর্ধনাও দিয়েছেন।’

এ সময় গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দেওয়া একদল ব্যক্তি সমাবেশকারীদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা সমাবেশকারীদের উদ্দেশে উঁচু গলায় কেন ব্যানারে নাগরিক সমাজ লেখা হয়েছে, সমাবেশে কাদের আনা হয়েছে—এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

পরে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশ চলাকালে কিছু লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আয়োজনটি বানচাল করে দেয়। মাইকে বক্তৃতা চলার সময় তারা অকারণে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে উচ্চবাচ্য করে। তারা উসকানি দেয় এবং কয়েকজনের দিকে তেড়ে আসে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল এ আয়োজন বানচাল করে দেওয়া।
বিজ্ঞাপন

পরে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশ চলাকালে কিছু লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আয়োজনটি বানচাল করে দেয়। মাইকে বক্তৃতা চলার সময় তারা অকারণে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে উচ্চবাচ্য করে। তারা উসকানি দেয় এবং কয়েকজনের দিকে তেড়ে আসে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল এ আয়োজন বানচাল করে দেওয়া।