রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এক মাস পর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ম্যাডামকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু সিসিইউতে দীর্ঘদিন থাকা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইতোমধ্যে সেখানে তার একবার ইনফেকশন হয়ে গেছে সেজন্য চিকিৎসকরা তাকে কেবিনে নিয়ে এসেছেন। কেবিনেই সিসিইউর সুবিধা রেখে তার পোস্ট কোভিড জটিলতাগুলোর চিকিৎসা চলছে।
গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোভিড জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দু’টি নল স্থাপন করে তার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়। গত সপ্তাহে দু’টি নলই খুলে ফেলার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হলো।
সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাৎ’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।গত ১০ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এ সময় তার বাসার নয়জন কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হন। তারা সবাই বিভিন্ন সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়াও গত ৯ মে করোনামুক্ত হন।