প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন। তার পর স্বামীর দেহ তিন টুকরো করে পুঁতে দেওয়া হল রান্নাঘরের মেঝেয়। মৃত্যুর সপ্তাহ দু’য়েক পরে বুধবার ২৭ বছরের ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিকও।স্স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের হাতে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রিয়াজ শেখ। ২০১২ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিদা শেখের। তাঁরা দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা। তাঁদের ৬ বছরের একটি মেয়ে এবং ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কাজের খোঁজে ওই দম্পতি এসেছিলেন মুম্বই। সেখানেই থাকতেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ মে শাহিদা দাহিসর থানায় অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী নিখোঁজ। সেই অভিযোগে শাহিদা জানায়, ২১ মে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রিয়াজ। তার পর আর ফেরেননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রিয়াজের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যেই ২৫ মে রিয়াজের ভাই আনিস মুম্বই পৌঁছন। শাহিদাকে নিয়ে তাঁর সন্দেহের কথা তিনি পুলিশকে জানান। রিয়াজের নিখোঁজ থাকা নিয়ে পুলিশকে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলতে থাকেন শাহিদা।
১ জুন পুলিশ রিয়াজের বাড়িতে যায়। সে সময় পুলিশকর্মীরা লক্ষ্য করেন, রান্নাঘরের টাইলস অগোছালো ভাবে বসানো। এর পরই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে শাহিদাকে। তখনই শাহিদা স্বীকার করেন, অমিত মিশ্র নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সেই সম্পর্কের কথা রিয়াজ জানতে পারে। এর পরেই প্রেমিকের সহযোগিতায় রিয়াজকে খুন করেন তিনি। ছেলে এবং মেয়েও এই ঘটনা দেখেছে বলে পুলিশকে জানায় শাহিদা। পুলিশ জানিয়েছে, গলায় তার পেচিয়ে খুন করা হয়েছে রিয়াজকে। তার পর দেহ কেটে পুঁতে ফেলা হয়েছিল মেঝেতে। মৃত্যুর ১১ দিন পর বুধবার রিয়াজের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দেহ।