ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-05-27, 12.00 AM
জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির কর্মসূচি

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের দফতরের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দলের পক্ষে এসব কর্মসূচি ঘোষনা করেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
২৯ মে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের কর্মময় জীবনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচনায় অংশগ্রহণ নেবেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায়টিতে যুক্ত থাকবেন সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

৩০ মে ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এদিন সকাল ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবেন। বেলা ১২টার পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পর্যায়ক্রমে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবে।

ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্থানে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সগযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়-দু:স্থ মানুষের খাদ্য দ্রব্য/বস্ত্র বিতরণ করা হবে। বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

৩১ মে ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্থানে দু:স্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য দ্রব্য/বস্ত্র বিতরণ করা হবে। বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক দলের (জাসাস) উদ্যোগে শহীদ জিয়ার জীবন ভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে।
০১ জুন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা হবে সকাল ১১ টায়।
০২ জুন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে বেলা ২:৩০ টায়।
০৩ জুন জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা হবে সকাল ১১ টায়।
০৪ জুন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ আসর দোয়া মাহফিল হবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
০৫ জুন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
০৬ জুন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা সকাল ১০ টায়।
০৭ জুন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আলোচনা সভা সকাল ১০ টায়।
০৮ জুন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
০৯ জুন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার উপর প্রকাশিত বই প্রদর্শনী।

দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরীতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা হবে। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালী জেলা ও মহানগরের এই কর্মসূচীতে অংশ নিবেন।

এছাড়াও অনুরূপভাবে সারাদেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে ভোর ৬টায় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এছাড়া স্ব স্ব ইউনিট সমূহ সুবিধামতো সময়ানুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩০ মে দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী/বস্ত্র বিতরণ করবে। বিএনপির অঙ্গসংগঠন সমূহ জেলা ও মহানগরী পর্যায়ে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

শহীদ জিয়ার ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে এবং ৩০ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।

এ সময় প্রিন্স বলেন, ৩০ মে বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত শোকের একটি দিন। এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান দেশী-বিদেশী চক্রান্তে নিহত হয়েছিলেন। যিনি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের নানা ক্রান্তিলগ্নে নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে বীর দর্পে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নজির স্থাপন করেছেন, তাঁকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে।

তিনি বলেন, জাতি যখন নেতৃত্বহীন এবং দিশেহারা অবস্থায় পতিত হয়েছে, তিনি তখনই আবির্ভূত হয়েছেন ত্রাতার ভূমিকায়। দেশপ্রেমের শক্তিতে বলিয়ান এই ক্ষনজন্মা পুরুষকে তাই জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনীর ক্র্যাকডাউনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সেনা সদস্যদের নিয়ে ‘উই রিভোল্ট’ বলে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিলেন, তিনি পরের দিন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। তিনিই আবার ৭৫’র ৭ নভেম্বর অমানিষার অন্ধকার থেকে অস্থির, বিশৃঙ্খল, হতাশাগ্রস্থ ও ষড়যন্ত্রের কবলে নিপতিত জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। জাতি পরমনির্ভরতায় দেশের সমস্ত দায়ভার এই ত্রানকর্তার উপর অর্পন করেছিল।

প্রিন্স আরও বলেন, বিএনপি শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন। তাঁর আদর্শ তথা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচিকে ধারণ করে এই দল দেশ ও জাতির কল্যানে এবং অধিকার আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেকারণেই শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী রাজনীতি আজ জনগণের আস্থা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জনগণের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্তই শহীদ জিয়ার রাজনীতিকে এবং তার প্রতিষ্ঠিত দলকে ধ্বংস করতে পারে নাই। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও পারবে না।