আগামী ২ জুন শুরু হতে যাওয়া বাজেট অধিবেশন ১২ কার্যদিবস চলবে। সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ অধিবেশনের একটি খসড়া কার্যসূচি তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এতে পরিবর্তন আসতে পারে। সোমবার (২৪ মে) সংসদ সচিবালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আগামী ২ জুন (বুধবার ) বিকাল ৫টায় অধিবেশন শুরু হবে। ওই দিন শোক প্রস্তাব ও আলোচনা গ্রহণ করা হবে। এরপর সংসদ মুলতবি হবে। পরের দিন ৩ জুন বিকাল তিনটায় বাজেট উত্থাপন ও অর্থ বিল উত্থাপন করা হবে। এরপর থেকে প্রতিদিনের কার্যদিবস শুরু হবে সকাল ১১টায়।
৬ জুন কমিটির বিল সম্পর্কিত রিপোর্ট উত্থাপন, চারটি বিল উত্থাপন এবং সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা হবে। ৭ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপরে আলোচনা ও পাস এবং নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল পাস করা হবে।
এরপর সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে ১৪ জুন আবারও চলবে বাজেট অধিবেশন। পরপর চার দিন অর্থাৎ ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপরে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১১ দিন বিরতি দিয়ে ২৮ জুন অধিবেশন আবারও বসবে এবং ওই দিনও বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পর দিন ২৯ জুনও মূল বাজেটের ওপরে সমাপনী আলোচনা হবে। সেদিন পাস হবে অর্থবিল। ৩০ জুন বুধবার মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক মজুরি দাবি নিষ্পত্তিসহ নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। পরদিন ১ জুলাই বৃহস্পতিবার শেষ হবে বাজেট অধিবেশন। ওইদিন প্রশ্ন-উত্তর পর্ব, বেসরকারি বিল উত্থাপন, সরকারি বিল পাস এবং অধিবেশনের সমাপ্তি হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারাও বক্তব্য দেবেন।
জানা যায়, বাজেট পেশের আগে ওইদিন (২ জুন)দুপুর ১২টায় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থ বিলে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ কারণে রাষ্ট্রপতি সেদিন সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে অবস্থান করবেন। এরপর ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে।
জানা গেছে, বাজেট অধিবেশন সংশ্লিষ্ট সব এমপি ও মন্ত্রী ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা টেস্ট করা হবে। করোনা পরীক্ষায় কেবল নেগেটিভ হলেই তারা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। তুলনামূলক তরুণ এমপিদের সংসদে উপস্থিত হওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে। সর্বনিম্ন সংখ্যক ব্যক্তিদের নিয়ে অধিবেশনের কাজ পরিচালনা করা হবে। সংসদ চলাকালীন দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে।