সরকারি নথি চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাবন্দি সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে এবং অচল অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাংবাদিক হেনস্থার প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন করছে বিক্ষুব্ধ নারী সাংবাদিকরা।শনিবার (২২ মে) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে এই প্রতীকী অনশন শুরু হয়। এই অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানায় প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা পরিষদ এবং অন্যান্য পুরুষ সাংবাদিকরাও।
অনশনরত নারী সাংবাদিক ডি আর ইউ নারী বিষয়ক সম্পাদক রিতা নাহার বলেন, সারাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তখন একজন সাংবাদিককে চোর উপাধি দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হলো। তথ্য সংগ্রহ কোন অপরাধ নয়। এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
শরিফা দোলা বলেন, রোজিনার অন্তত বিশটা রিপোর্ট আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিয়ম নিয়ে। তার রিপোর্ট ধরে একটা আমলার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না অথচ একটি অচল আইনে রোজিনার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এসব অবিবেচনা প্রসূত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং সাংবাদিক রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
প্রতীকী অনশনে সংহতি জানায় প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা পরিষদ। সংহতি বক্তব্যে প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন,শুরু থেকে সর্বস্তরের সাংবাদিকরা যেভাবে রোজিনার জন্য রাস্তায় নেমেছেন এবং তার সাথে সংঘটিত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ ও আপ্লুত।
প্রতীকী অনশনে সংহতি জানায় প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা পরিষদ
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, এখানে রোজিনা একটা উপলক্ষ মাত্র। যে অন্যায় ও হেনস্থা তার সাথে ঘটেছে সেটির ভুক্তভোগী পুরো সাংবাদিক সমাজ। এই সব প্রতিবাদ করে রোজিনার মুক্তি শুধু নয় পুরো সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছি। সাংবাদিকদের হয়রানি করা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার যে পায়তারা সেগুলো প্রতিরোধ করতে রাস্তায় নেমেছি।
এছড়া অনশনে অংশগ্রহণ করা নারী সাংবাদিকরা বলেন,শুধু মুক্তিই নয় রোজিনার এই মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিকতা কোন অন্যায় নয়।এছাড়া সচিবালয়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে রোজিনাকে যারা অত্যাচার করেছে তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামীকাল যদি রোজিনার মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।