মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শুক্রবার (২১ মে) ভোর থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাসের মধ্যে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১১ দিনের বোমাবাজির সমাপ্তি ঘটে।এই যুদ্ধে দুই দেশের ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই ফিলিস্তিন নাগরিক। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ফিলিস্তিনে চলছে উৎসবের আমেজ। তারা গাজার রাস্তায় বেরিয়ে, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ট বলে চিকিৎসা করে শুকরিয়া আদায় করেন। খবর বিবিসির।
২০১৪ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। হামাস বলেছে, আল-আকসা ও জেরুজালেমের শেখ জারায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষে নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করেছে।
ইসরায়লি হামলা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একাই সাথে ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে মিসরের মধ্যস্থতার প্রশংসাও করেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার শতাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলা করে গাজার উত্তরে হামাস অবকাঠামোগুলোতে। পরে হামাস রকেট গুলি চালিয়ে এর প্রতিশোধ নেয়। হামাসের রকেট হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভা সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। এরপরেই ইসরায়েলি সরকার যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ছিল। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে মিসর।
প্রসঙ্গত, পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জের ধরে ১১ দিন ধরে ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়ার কথা জানিয়ে গত ১০ মে থেকে অধিকৃত এই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ যুদ্ধে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ শিশু এবং ৩৮ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় নারী-শিশুসহ ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।