ঢাকা, বুধবার ৮ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা

প্রতিবেশিদেশ ডেস্ক।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-05-20, 12.00 AM
ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ধুঁকছে ভারত। তারমধ্যে দেশটিতে নতুন করে দেখা দেওয়া মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া একটি চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২০ মে) উল্লেখ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যকে এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে বলেছে।এতে বলা হয়, এ ঘোষণার অর্থ হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সব নিশ্চিত এবং সন্দেহজনক রোগী সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লকে জানাতে হবে। চিঠিতে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগারওয়াল বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগীর স্ক্রিনিং, নির্ণয়, ব্যবস্থাপনা নিয়ে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজকে নির্দেশিকা ফলো করতে হবে।

এই রোগটি নাকের ওপরে কালো হয়ে যাওয়া বা বর্ণহীনতার সৃষ্টি করতে পারে, দৃষ্টি ঘোলা বা ডাবল ভিশনের করাতে পারে, বুক ব্যথা, শ্বাস গ্রহণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এ রোগের ১৫০০ রোগী পাওয়া গেছে। এখানে মারা গেছেন ৯০ জন। তামিলনাড়ুতে পাওয়া গেছে একজন রোগী। অন্যান্য রাজ্যেও ধীরে ধীরে আরও রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ। মিউকর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত মাটি, গাছপালা, পচনশীল ফল ও শাকসবজিতে এই ছত্রাক দেখা যায়।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) জানিয়েছে, মিউকরমাইকোসিস মুখে আক্রমণ করতে পারে। নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ সংক্রমণে সাইনাসের ব্যথা, এক নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথার এক পাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমণে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন। এটা ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত ডায়াবেটিস রয়েছে এমন কোভিড পজিটিভ রোগীদের এ ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কেননা স্টেরয়েডের অপব্যবহার কোভিড–১৯ রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রনদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ডায়াবেটিস রোগী, যাঁদের স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তাঁদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এমনকি করোনা থেকে সেরে উঠলেও এ সংক্রমণ হতে পারে। এটা প্রতিরোধ করার জন্য স্টেরয়েডের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।