পশ্চিমবঙ্গে নারদা মামলায় গ্রেফতার চারজনের জামিন মঞ্জুর করলো আদালত। সিবিআইয়ের জেল হেফাজতের আবেদন খারিজ করে এই রায় দিয়েছে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।সোমবার (১৭ মে) সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যায় জামিন পায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতার সাবেক মেয়র তথা তৃণমুলত্যাগী বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। সকলকে ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
এদিন বিকেলে আদালতে প্রভাবশালী তত্ত্বের ওপর ভর করে এই ৪ জনের জামিন বিরোধিতা করে সিবিআই। কিন্তু গ্রেফতারকৃতদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে বলেন, এই গ্রেফতার বেআইনি। সরকারের অনুমতি না নিয়ে রাজ্যপাল কীভাবে মঞ্জুর করেন চার্জশিট? পাশাপাশি রাজ্যের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জেলে থাকলে সেই উদ্যোগ বড়সড় ধাক্কা খাবে।
অপরদিক, সোমবার গ্রেফতারের পরই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার চারজনের ভার্চুয়ালি শুনানি শুরু হতেই ৬ ঘণ্টা পরে নিজাম প্যালেস ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই আচমকা গ্রেফতার করে এদেরকে। তবে একই মামলায় একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেনো গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? প্রশ্ন তৃণমূলের।
আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিহিংসার বশে এনাদেরকে বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছে। রাজ্যপালের এখতিয়ার নেই গ্রেফতারিতে সই করার। গ্রেফতারকৃতরা তদন্তে সহযোগিতা করেনি এমনটা নয়। যখনই ডেকেছে হাজিরা দিয়েছে।
তাঁর দাবি, এঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যে ছিলেন। কোথাও পালিয়ে যায়নি। ভবিষ্যৎ এ কোর্ট ডাকলে এনারা উপস্থিত হবেন। অবশ্য জামিন মামলায় সিবিআই কোনও নথিও পেশ করতে পারেনি।