যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন চার জাতির জোট কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যকে অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ মনে করছে না বেইজিং। কারণ বেইজিং মনে করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাংলাদেশ ও চীন সব সময় একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বুধবার (১২ মে) বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া ছুনিয়িং এ মন্তব্য করেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এরআগে গত সোমবার (১০ মে) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।
পরে ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে মঙ্গলবার (১১ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোয়াড নিয়ে চীন আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে। কোয়াড নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর জের ধরে বুধবার (১২ মে) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ মিন মোমেন চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে তার বক্তব্যের ব্যাখা চান। লি জিমিং ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওই বক্তব্য সম্পর্ক নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয়। তিনি ‘আউট অব কনটেক্সট’ সোমবার ওই বক্তব্য দিয়েছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশ করা নিয়ে এক সাংবাদিক চীনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হুয়া ছুনিয়িং বলেন, বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি মূল নীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। আমরা সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীলতায় বিশ্বাস করি। দুই দেশ সব সময় একে অন্যের মূল স্বার্থ সুরক্ষা ও প্রধান উদ্বেগ দূর করার ক্ষেত্রে একে অন্যকে জোরালোভাবে সমর্থন করি।
আমরা সবাই জানি কোয়াড একটি চীন বিরোধী জোট। এই জোট চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক দেশগুলোর যে সংঘাত তা উসকে দিতে চায় আর চীন সেটার বিরোধিতা করে।