ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

শিমুলিয়ায় বাড়ি ফেরাদের বাঁধভাঙা জনস্রোত

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-05-11, 12.00 AM
শিমুলিয়ায় বাড়ি ফেরাদের বাঁধভাঙা জনস্রোত

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে শেষ সময়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল যেন থামছেই না। সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিঘাটে যাচ্ছে। বাঁধভাঙা স্রোতের মতো লোকজন ফেরিতে উঠার চেষ্টা করছে। মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে আসা কোনো ফেরি শিমুলিয়ার ঘাটে ভিড়তেই আগে উঠার প্রতিযোগিতায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে তারা।ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (১০ মে) রাতের তুলনায় মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষর চাপ অনেক বেড়েছে। তাছাড়া মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টির কারণে খোলা ফেরিতে কাকভেজা হয়ে হাজার হাজার মানুষ পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। আবার বেলা বাড়তেই গ্রীষ্মের দাবদাহে কষ্ট করছে তারা।

ঘরমুখী এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘাটমুখী অন্তত তিনটি চেকপোস্ট পার হতে কয়েকবার গাড়ি বদল করতে হয়েছে তাদের। কখনওবা হাঁটতে হয়েছে কয়েক কিলোমিটার।

বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহম্মেদ আলী জানান, ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন। তাই চাপ আরও বেড়েছে। দিনের বেলায় জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি পরিস্থিতির কারণে লোকজনও পার করা হচ্ছে। ১৫টি ফেরিই চলাচল করছে এখন।

এর আগে গত শনিবার (৮ মে) ঘরমুখো মানুষের ঢল নামার কারণে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছিল না। তাই রোববার (৯ মে) থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এরপরও থামেনি মানুষের ঢল।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, মানুষের ঢল থামানো যাচ্ছে না। তাই সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, সাড়ে ৪ শ' স্পিডবোট ও দুই শতাধিক ট্রলার চলাচল করতো যার সবগুলো এখন বন্ধ রয়েছে। এই রুটের ফেরির সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে ১৫টি সচল রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ফেরিতেই পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন ঘরমুখী মানুষ।