চীন থেকে প্রাথমিকভাবে ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ করোনার টিকা কিনতে চায় বাংলাদেশ সরকার।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক মঙ্গলবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেপালকে করোনা সামগ্রী উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের খরচ আমাদেরকেই দিতে বলেছিল চীন, যেটা পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু তখনই বাংলাদেশ জানিয়ে রেখেছিল পরবর্তীতে তাদের থেকে টিকা কেনা হবে।এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি, আমরাই ঠিক করবো, চীনা রাষ্ট্রদূত কি বললো সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।
নেপালের করোনা অবস্থার অবনতি হওয়ায় আক্রান্তদের জন্য মেডিকেল সামগ্রী ঢাকাস্থ নেপালি রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্রের হাতে তুলে দেন পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্মিত সার্ক কোভিড জরুরি তহবিল থেকে নেপালের জন্য বেক্সিমকো ফার্মার দ্বারা নির্মিত রেমডিসিভির ইনজেকশনের ৫০০০ ডোজ টোকন বাক্স রাষ্ট্রদূতের হাতে হস্তান্তর করেন। ঢাকাস্থ নেপালি দূতাবাসের আয়োজনে
এই রেমডিসিভির হিমালয়ান এয়ারলাইনসে কাঠমান্ডুতে আজ পরিবহন করা হবে। এ ছাড়াও এসেনশিয়াল ড্রাগস, পিপিই এবং হাইড্রোক্লোরোকুইন ট্যাবলেট হস্তান্তর করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই আইটেমগুলো যথেষ্ট পরিমাণ পাঠাচ্ছে যা শিগগিরই নেপাল দূতাবাসের দ্বারা নেপালে স্থানান্তরিত হবে। হস্তান্তরকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সোমবার (১০ মে) একটি ভার্চুয়াল সংলাপ অনুষ্ঠনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট কোয়াডে যুক্ত হলে খারাপ হবে চীন বাংলাদেশ সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত এ জোটের সদস্য।