ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

আসামি নয় মুনিয়ার পরিবার নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-05-07, 12.00 AM
আসামি নয় মুনিয়ার পরিবার নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া

মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনায় মনোযোগ বেশি দেওয়া হচ্ছে। টানাহ্যাঁচড়া হচ্ছে পরিবারকে নিয়েও। মৃত্যুর ১১ দিন পরও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ না করাটা হতাশার।শুক্রবার মোসারাতের বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান এসব কথা বলেন। গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাতের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মোসারাতের বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। ওই মামলায় একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুলশানের ফ্ল্যাটে গিয়েই পুলিশ আঁচ করতে পারে, মোসারাতের মৃত্যুর পেছনে ‘বড় প্ররোচনা’ আছে। তাঁরা ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন

আজ মোসারাতের বোন বলেন, পুলিশ নিজেই বলছে আত্মহত্যায় বড় প্ররোচনা আছে, কিন্তু প্ররোচনাকারীকে এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এমন কোনো খবর তাঁর কাছে নেই। তবে বুধবার তাঁকে আবারও পুলিশ ঢাকায় ডেকে পাঠায়। তিনি ও তাঁর এক আত্মীয় কী ঘটেছিল তা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাঁদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছে। বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করে পুলিশ জানতে চেয়েছে মোসারাত তাঁকে চিনতেন কি না। নুসরাত দুঃখ করে বলেন, ‘কবরে কে পাঠাল সে নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা ষষ্ঠ শ্রেণিতে মুনিয়া কী করেছিল, দশমে কী, মৃত্যুর আগে কী। আমিও বাদ যাচ্ছি না। এসব আলোচনা কি এই মামলায় কোনো কাজে আসবে?’

যেদিন নুসরাতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, ওই দিনই ফ্ল্যাটটির মালিক ইব্রাহীম রিপন ও শারমিন শাহেদকে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছিল। তবে আসামির বাইরে এজাহারে নাম আসা পিয়াসাকে কিংবা হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সঙ্গে পুলিশ কথা বলেনি। এই দুজনই আলাদা আলাদাভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন।

মোসারাতের মৃতদেহ উদ্ধারের পর, দিন তিনেক এই ইস্যুতে পুলিশ কথা বললেও এক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ফলে পুলিশের দিক থেকে মামলার অগ্রগতি কতটুকু, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে তাঁরা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছেন। মুনিয়ার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে।