ঢাকা, শনিবার ২০ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

মুনিয়ার মৃত্যু: নিরপেক্ষ তদন্ত চায় মহিলা আইনজীবী সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-05-05, 12.00 AM
মুনিয়ার মৃত্যু: নিরপেক্ষ তদন্ত চায় মহিলা আইনজীবী সমিতি

গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার (২১) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে মহিলা আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।বুধবার (৫ মে) বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়দা পারভীনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকার ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর (২১ বছর) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করা হলেও আসামিরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। এই ঘটনায় সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এ ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনডাব্লিউএলএ।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধীরা পেশি শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পার পেয়ে যাবে। ফলে এদেশে তনু, নুসরাতসহ অনেক নারী ও শিশু হত্যার বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে দেশের সমগ্র নারী ও শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার দিয়ে মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন সায়েম সোবহান। তিনি নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতেন। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতেন। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এর বিচার চান তারা।