বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গুম হয়েছে ৬০১ জন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জন। এত যে মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, এর জবাব অবশ্যই এই আওয়ামী লীগ সরকারকে দিতে হবে।যারা গুম নিখোঁজ হয়ে গেছে তাদের পরিবারের কাছে, গোটা জাতির কাছে তাদের জবাব দিতে হবে।শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকে তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এসমস্ত কৌশল নিতে হয়। কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। যেহেতু তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকে সে কারণে তাদের এই হত্যা, গুম নির্যাতনের আশ্রয় নিতে হয়। এটা আজকের বিষয় নয়, বহু আগে থেকেই চলে আসছে। ফ্যাসিস্ট কারা- যারা নির্বাচিত হয়ে আসে, আসার পরে তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এই কৌশলগুলো অবলম্বন করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে এই রাজনীতি, আন্দোলন সংগ্রাম করছি, যে কারণে আমাদের এই ছেলেরা মাঠ থেকে হারিয়ে গেলো, আমরা একটা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের যে অধিকারগুলো আজকে আওয়ামী লীগের দানব, ফ্যাসিস্ট সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে কেড়ে নিয়েছে সেই শক্তিকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্যই এত ত্যাগ, এত অশ্রু, এত ব্যাথা, এত বেদনা।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় প্রতিবছর যখন আপনাদের সামনে উপস্থিত হই, তখন নিজেদের মাঝে মাঝে অপরাধী মনে হয়। এজন্য যে আমরা এখন পর্যন্ত এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারিনি। একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তি আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নষ্ট করে দিয়ে, আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে একটা দানবীয় শক্তি হয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদ, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।