ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

চার্টার্ড ফ্লাইটে দুবাই সায়েম সোবহানের পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-04-30, 12.00 AM
চার্টার্ড ফ্লাইটে দুবাই সায়েম সোবহানের পরিবার

দেশ ছেড়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহানের পরিবার। একটি চার্টাড ফ্লাইট করে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ছোট ভাইয়ের বউ, স্টাফ ও সহকারীসহ ৮ জন দুবাই চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ভাড়া বিমানে দেশ ছাড়েন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিসি ইমিগ্রেশন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র।এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভিএসইসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, চার্টার্ড বিমানটি আজ সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, সায়েম সোবহানের পরিবারের আট সদস্য বৈধ কাগজপত্র নিয়েই দেশের বাইরে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর যেন দেশ ছাড়তে না পারেন সে জন্য নিরাপত্তা ও অভিবাসন কর্মকর্তারা সজাগ ছিলেন। এক নথি থেকে জানা যায় ওই ফ্লাইটে ছিলেন, সাবরিনা সোবহান, আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান, আরিশা আফরোজ সোবহান, ঈয়াশা সোবহান, রানিয়া আফরোজ সোবহান, ডিয়ানা হেরনানদেজ কাকানানদো, মোহাম্মদ কাদের মীর এবং হোসনেআরা খাতুন।এই আট জনের মধ্যে ডিয়ানা হেরনানদেজ কাকানানদো, মোহাম্মদ কাদের মীর এবং হোসনেআরা খাতুন তাদের পরিবারের গৃহকর্মী বলে জানা গেছে।

তিনি আরও জানান, ছয় ডানার বেসরকারি জেট বিমানটি রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। এটি পরিচালনা করে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্কু সলিউশন লিমিটেড।এর আগে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান বলেন, তারা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি নিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ছাড়পত্র পাওয়ার পর চার্টার্ড ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকে তারা বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি চাইছিলেন।উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে সায়েম সোবহান মুনিয়াকে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। আনভীর নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।