কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার রাজধানীর গুলশানের ফ্লাট থেকে ছয়টি ডায়েরি পেয়েছে পুলিশ।মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি জানিয়েছেন। এসব ডায়েরির লেখাগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আাত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে নিহতের বড় বোন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরির লেখাগুলো যাচাই করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরির সঙ্গে সেগুলো যাচাই চলছে। আপাতত হ্যাংগিং মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মধ্যরাতে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মুনিয়ার মরদেহ কুমিল্লায় নিয়ে মঙ্গলবারই দাফন করেছেন স্বজনরা।