দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভূত ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই একজন প্রার্থীর ওপর গুলি চালানোর মতো ঘটনা প্রমাণ করে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ ধরনের সহিংস ঘটনায় শুধু রাজনৈতিক প্রার্থী নয়, সাধারণ জনগণের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।তিনি সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সকল প্রার্থী, রাজনৈতিক কর্মী এবং দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনকালীন পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও শক্ত ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতন্ত্রকামী শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানান।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি এমন বক্তব্য দেবেন না, যাতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
উল্লেখ্য, গতকাল নোয়াখালী জেলার সেনবাগ-সোনাইমুড়ি অংশের বারগাঁও ইউনিয়নের ১ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রান্তিক জনতার মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি ইলেকশন কমিশনার এবং প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতিও একই আবেদন জানান।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।