ঢাকা, বুধবার ১ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

পর্তুগালে প্রথম কমিউনিটির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

পর্তুগালের লিজবন থেকে হাফিজ আল আসাদ

2024-04-15, 12.00 AM
পর্তুগালে প্রথম কমিউনিটির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

পর্তুগালের রাজধানী নিসবনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাজধানীর জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার লিটন তার্কিশ গ্রিলে 'বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ' এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া, আবৃতি, গান ও নৃত্য পরিবেশন, পান্তা ইংলিশ-ভর্তা ভোজন এবং ব্যান্ড সংগীত অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী ছিল জমকালো আয়োজন। অনুষ্ঠানে পর্তুগালের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবারসহ সহস্রাধিক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, পর্তুগালে বাংলাদেশী কমিউনিটি বড় হলেও এর আগে সবার অংশগ্রহণমূলক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়নি। এবার প্রথম অনুষ্ঠানে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করে পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাব। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তছলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক খলিলুর রহমান সাগর, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও তরুণ উদ্যোক্তা রনি হোসাইন, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ (প্রিন্স), ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, যুবনেতা আহমেদ লিটন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব  গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ,হুসাইন আলী রাজন ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ।

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা     এডভোকেট রাসেল মজুমদারের সঞ্চালনায় দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন আয়োজন।
শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ এবং বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক ভর্তা পরিবেশন করা হয়। বিকেলে নারীদের বালিশ খেলা, স্বেচ্ছায় সঙ্গীত পরিবেশন, শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্যান্ড সংগীত অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।