ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

পাল্টা আঘাত করতে জানি:রিজভী

2023-08-01, 12.00 AM
পাল্টা আঘাত করতে জানি:রিজভী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দলের অন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের ওপর এই অন্যায় আঘাত বৃথা যাবে না। প্রতিটা আঘাতের প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। আমরা গান্ধীবাদে বিশ্বাস করি না, শান্তিতে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে শান্তির যে জায়গা সেটা বিশ্বাস করি। কিন্তু আঘাতে আঘাতে আমাদের ক্ষতবিক্ষত করলে পাল্টা আঘাতও করতে জানি আমরা। সময়মতো সেটা করবো।মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করা হয়।রিজভী বলেন, আমরা এরশাদের জুলুম দেখেছি, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছি। তখনো এই জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। এরপর আবার ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তবে স্বৈরাচার আইয়ুব খান ও এরশাদের চাইতে কেন জানি আওয়ামী লীগের নির্যাতনের মাত্রাটা একটু ভিন্ন রকম। ওরা আওয়ামী লীগ এমনভাবে যে, বাংলাদেশে অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না। তার সামাজিক মর্যাদা যেটাই থাক ওরা নিজেদের প্রভু মনে করে। নিজেদের মনে করে এই দেশের মালিক তারা (আওয়ামী লীগ), জনগণ মালিক নয়।গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একজন ৭৫ বছর বয়সী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশের মন্ত্রী ছিলেন, তাকে রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে। কারা পেটাচ্ছে? পুলিশের পোশাক পরা হয় যুবলীগ, না হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ আর না হয় ছাত্রলীগের কেউ। অথচ সেখানে অফিসাররা দাঁড়িয়েছিলেন, তারা তাকে রক্ষা করলেন না। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হলো রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। তারপর নাটক করে তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হলো। তারা (ডিবি) তাকে খাবার দিয়ে ছবি তুলে ভাইরাল করলো। ভাইরাল করে তারা যে রুচি বিকৃতির প্রদর্শন করেছেন তার মাধ্যমে প্রমাণ হলো, বাংলাদেশের পুলিশ আর রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে থাকলো না, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত হয়েছে পুলিশ।গয়েশ্বরকে খাবার দিয়ে ছবি তোলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খাবার দিয়ে ছবি তোলা এটা তো ছোটলোকরা করে। এটা কোনো ভদ্রলোক করতে পারে না। আওয়ামী লীগ সেই ঐতিহ্যই বহন করছে। এদের ঐতিহ্যে সভ্যতা নেই, সুসংস্কৃতি নেই।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি আবার ২০১৩-১৪ সালের মতো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি কি কথা বলেন? ২৮ জুলাই যে মহাসমাবেশ সেটির অনুমতি নিয়ে পুলিশ কতো গড়িমসি করলো, কিন্তু কোনো সহিংসতা হয়েছে? কই এখানে তো কোনো মারামারি হয়নি। আপনার ওই সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির সঙ্গে মারামারি করতে না পেরে একটি নিরীহ মাদরাসাছাত্রকে হত্যা করেছে গুলিস্তানে। আপনার যুবলীগ-ছাত্রলীগ প্রতিদিন সন্ত্রাস করছে। মানুষকে হত্যা করছে।