ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

ভাল করতে গিয়ে ডিসি রোষানলে

জেলা প্রতিনিধি।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-07-11, 12.00 AM
ভাল করতে গিয়ে ডিসি রোষানলে

মানিকগঞ্জে সরকারি একটি ওষুধ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প পাসের আগেই প্রস্তাবিত এলাকায় জমি কিনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলে-মেয়েরা। এ জমি ঘিরে কারসাজির ঘটনার খবর আলোচনার মধ্যে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ আবদুল লতিফকে বদলি করা হয়েছে।সোমবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বদলি করার কথা জানানো হয়। তার জায়গায় মানিকগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবকে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জে সরকারি একটি ওষুধ কারখানা নির্মাণ প্রকল্প পাসের আগেই প্রস্তাবিত এলাকায় ২০ একর ৬৫ শতাংশ জমি কিনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলে-মেয়েরা। এরপর সেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন (ভিটি শ্রেণি) করে নির্দিষ্ট মৌজার জমির সরকারি মূল্য পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়। পরে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার শুরুতে জেলা ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটি মূল্যায়নে বিষয়টি উঠে আসে। কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ।  

 

সম্প্রতি মানিকগঞ্জের ডিসি আবদুল লতিফ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানান, প্রস্তাবিত ওই মৌজায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। প্রস্তাবিত জমিতে কারখানা না করে পাশের কোনো মৌজায় প্রকল্প করলে সরকারের ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

 

এ চিঠি দেওয়ার পরপর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নামেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন। যিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

 

এ বিষয়ে ৮ জুলাই একটি গণমাধ্যমে ‘সরকারি প্রকল্পে অধিগ্রহণের আগেই জমি কিনে নেন মন্ত্রী ও তার ছেলে-মেয়ে’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ খবর প্রকাশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। তাতে জেলা প্রশাসককে বিষোদগার করা হয়। জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারি ওষুধ কারখানা প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।  ওষুধ কারখানা নির্মাণের জমি ঘিরে এ কারসাজির ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসককে সরিয়ে দেওয়া হলো।