ঢাকা, সোমবার ১৩ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

এক নায়িকার প্রেমকাহিনি সিনেমার মতো

ডেস্ক নিউজ।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-04-29, 12.00 AM
এক নায়িকার প্রেমকাহিনি সিনেমার মতো

কেরিয়ার তৈরি করতে না করতেই সহ-অভিনেতার সঙ্গে প্রেম। বিয়ের কথা পরিবারে জানানোয় বেঁকে বসেন অভিনেত্রীর মা এবং ভাই। তাই সকলের আড়ালে শুটিং সেট থেকে পালিয়ে সিদ্ধার্থ রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শান্তিপ্রিয়া।অক্ষয় কুমারের প্রথম ছবি ‘সৌগন্ধ’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী শান্তিপ্রিয়াকে। এর আগে অবশ্য তামিল, তেলুগু এবং কন্নড় ছবিতে অভিনয় করে পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি।সম্পর্কে বলি অভিনেত্রী ভানুপ্রিয়ার বোন হন শান্তিপ্রিয়া। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে সবেমাত্র হিন্দি ফিল্মজগতে পা দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সময় তাঁর আলাপ হয় সিদ্ধার্থ রায়ের সঙ্গে।১৯৭৭ সালে শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ করলেও আশির দশক থেকে একের পর এক হিন্দি ছবিতে কাজ করছিলেন সিদ্ধার্থ।নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বলিপাড়ায় একটি নামী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তখনকার নবাগত তারকারা বলিউডের সুপারহিট গানের সঙ্গে মঞ্চে পারফর্ম করতেন।পারফরম্যান্সের খাতিরে শান্তিপ্রিয়ার সঙ্গে সিদ্ধার্থের জুটি তৈরি করা হয়। সিদ্ধার্থের সম্পর্কে তখন কিছুই জানতেন না শান্তিপ্রিয়া। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হওয়ার পর অভিনেত্রী জানতে পারেন যে, সিদ্ধার্থ আসলে ভি শান্তারামের নাতি।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শান্তিপ্রিয়া তাঁর সঙ্গে সিদ্ধার্থের প্রেমকাহিনি নিয়ে মুখ খোলেন। অভিনেত্রী জানান যে, দক্ষিণী ফিল্মজগতে শান্তারামকে সকলে ভগবানতুল্য মনে করেন। শান্তারামের নাতির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন বলে আনন্দে ভেসে গিয়েছিলেন শান্তিপ্রিয়া।শান্তিপ্রিয়া জানান যে, সিদ্ধার্থের সঙ্গে শুধুমাত্র শান্তারামকে নিয়েই কথা বলতেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানের সময় তাঁদের বন্ধুত্ব হয়। তার পর ‘অন্ধা ইনতেকাম’-এর মতো গুটিকতক ছবিতে সিদ্ধার্থের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগও পান শান্তিপ্রিয়া।শুটিংয়ের সময় শান্তিপ্রিয়ার সঙ্গে সিদ্ধার্থের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। শুটিংয়ে বিরতির মাঝে অভিনেত্রীর সঙ্গে হাসিঠাট্টায় মেতে উঠতেন সিদ্ধার্থ। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াতও করেন দু‌ই তারকা।সিদ্ধার্থের পরিবারের সদস্যরা শান্তিপ্রিয়াকে পছন্দ করতেন। এমনকি, সিদ্ধার্থকেও পছন্দ করতেন অভিনেত্রীর মা। তবে শুধুমাত্র কন্যার বন্ধু হিসাবেই।শান্তিপ্রিয়া বলেন, ‘‘এক দিন মায়ের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই সিদ্ধার্থ হঠাৎ বলে ওঠে যে, আমাকে ও বিয়ে করতে চায়। সিদ্ধার্থের কথা শুনে মা চমকে গিয়েছিল। বিয়ের সিদ্ধান্ত আমার দাদা নেবে বলে পরিস্থিতি এড়িয়ে যায় মা।’’বিয়েতে মত চাইতে চেন্নাইয়ে শান্তিপ্রিয়ার দাদার সঙ্গেও দেখা করতে যান সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থের কথা শুনে শান্তিপ্রিয়ার দাদা বলেন, নিজেদের মধ্যে মেলামেশা আরও বৃদ্ধি করতে।শান্তিপ্রিয়ার কেরিয়ারে যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই কারণে সিদ্ধার্থের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি অভিনেত্রীর পরিবার। সিদ্ধার্থের সঙ্গে যে দু’-একটি ছবি অভিনেত্রী সই করে ফেলেছিলেন, সেগুলি থেকেও শান্তিপ্রিয়াকে সরিয়ে ফেলেন তাঁর মা।পরিবারের সদস্যেরা রাজি হবেন না বলে শুটিং সেটের মাঝেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে পালিয়ে যান শান্তিপ্রিয়া। এমনটাই সাক্ষাৎকারে জানান অভিনেত্রী। ১৯৯২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে।সংসার করবেন বলে অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শান্তিপ্রিয়া। দুই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু বিয়ের ১২ বছর পর অভিনেত্রীর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। ২০০৪ সালে হৃদ‌্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিদ্ধার্থ। তার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে একা হাতেই সংসার সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী।