ঢাকা, মঙ্গলবার ১৪ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

শুক্র ও শনি নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃ‌তি অনুষ্ঠান

জেলা প্রতিনিধি।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-02-11, 12.00 AM
শুক্র ও শনি নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃ‌তি অনুষ্ঠান

খাগড়াছড়িতে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে গ্রিস স্থাপত্যের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম অ্যাম্পিথিয়েটার।গ্রিক ও রোমান সভ্যতা থেকে আত্মীকৃত স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য ও আধুনিক রূপ হলো অ্যাম্পিথিয়েটার।নান্দনিক এই অ্যাম্পিথিয়েটারে প্রতি শুক্র ও শনিবার পার্বত‌্য অঞ্চ‌লের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা তাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন। এর মাধ‌্যমে পাহাড় ও সমতলের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতির বন্ধন আরো জোরদার হবে।এতে দে‌শের অন‌্য অঞ্চল হ‌তে আগত পর্যটকরা পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন। এর মধ্য দিয়ে দে‌শের পর্যটন খাত উন্নত ও বিকশিত হ‌চ্ছে বলে মনে করেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

 

জানা গেছে, খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে অন্তত ৬০০ ফুট উচ্চতায় অব‌স্থিত।

আর সেখানেই অ্যাম্পিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা। তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেছেন আগত পর্যটকরা। প্রতি সপ্তাহের পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও লোক নাট্য পরিবেশন করে থাকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

 

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক জিতেন চাকমা সাংবা‌দিক‌দের জানান, খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটনশিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ের সংস্কৃতি পুরো দেশের মানুষ জানতে পারবে।

 

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ব‌লেন,  পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অ্যাম্পিথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে। তি‌নি আরো জানান, এই  অ্যাম্পিথিয়াটারে একই সঙ্গে এক হাজার দর্শক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন।উ‌ল্লেখ‌্য, গত ১৯ নভেম্বর ২০২২ ইং খাগড়াছড়ির জেলার তৎকালীন প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস অ্যাম্পিথিয়েটার টি উদ্বোধন করেন।অ্যাম্পিথিয়েটারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকায় শুক্র ও শনিবার আলুটিলায় পর্যটন কে‌ন্দ্রে প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা করা হয়ে‌ছে।