ঢাকা, রবিবার ৩০ই জুন ২০২৪ , বাংলা - 

মণিরামপুরে দিনে ২০ বার বিদ্যুৎ যায়,অতিষ্ঠ মানুষ

যশোর জেলা সংবাদদাতা

2024-06-27, 12.00 AM
মণিরামপুরে দিনে ২০ বার বিদ্যুৎ যায়,অতিষ্ঠ মানুষ

যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলা শহরজুড়ে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিন নেই রাত নেই ২৪  ঘণ্টায় কম করে হলেও ২৪ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। একেতো ভ্যাপসা গরম, তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও সমানতালে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ গরমে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বার বার মণিরামপুর  পল্লী বিদ্যুৎকে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করে না।কিন্তু আবারও দিনে রাতে মিলিয়ে ৪থেকে ৫  ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হচ্ছে ২০ বার।এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। অনেকেই বলছেন, ঘন ঘন বিদ্যুতের উঠানামার কারণে বেশি পরিমাণ ইউনিট কাটা হচ্ছে। এ বিষয়টিকে  পল্লী বিদ্যুতের অদায়িত্বশীল আচরণ বলছেন গ্রাহকরা। গত শীত মৌসুমে মানুষজন অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় লোডশেডিং তেমন একটা ছিলো না। এখন গরম এসেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে গরম অন্য বছরের তুলনায় বাড়ছে। কিন্তু লোডশেডিং কমছে না। এর পেছনে ইজিবাইক  ও অটোরিকশার চার্জ দেয়াকে দায়ী করছেন অনেকে। একদিকে গরম ও অন্যদিকে লোডশেডিং করায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিকল্প উপায় হিসেবে চার্জার ফ্যানের দিকে ঝুঁকছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখন চার্জার ফ্যানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এতে করে সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।জানা যায়, দেশব্যাপী চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। এর মধ্যে মণিরামপুর উপজেলা জুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গরমে। এ বিষয়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জিএম আব্দুল লতিফের সাথে কথা বললে সে জানায় আমরা বরাদ্দ কম পাচ্ছি এইজন্য সাপ্লাই কম দিতে হচ্ছে।