আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪৭ জন প্রার্থী।প্রতিটি আসনেই বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে সারা দেশের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম ক্রয় শুরু করেছেন। এদিকে রোববার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার ৬ আসনের বিপরীতে ৪৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদর আংশিক) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ২ জন। এরা হলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ও তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত সংসদ সদস্য ড. সেলিম আহমেদের ছেলে শেহেরিন সেলিম রিপন।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৮ জন। এরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের পিপি গাজী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, শহীদ এম মনসুর আলীর দৌহিত্র ও প্রয়াত সংসদ সদস্য ড. সেলিম আহমেদের ছেলে শেহেরিন সেলিম রিপন ও বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মাহমুদ সরকার তারেক।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তারা হলেন- বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম মানিক, প্রয়াত সাবেক এমপি ইসহাক হোসেন তালুকদারের ছেলে রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন, রায়গঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল হাদি আলমাজি জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হৃদয়, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও ব্যনিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি লুৎফর রহমান দিলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হালিম খান দুলাল, তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হোসনে আরা পারভীন লাভলী, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম খন্দকার। এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত নেতা সঞ্জিত কর্মকার গত উপজেলা নির্বাচনী নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে হেরে যান।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ৭ জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, উল্লাপাড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তি, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, সলপ ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান ও ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক (অব:) আলহাজ্ব মো: ইয়াছিন আলী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মিল্টন।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে ৬ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন, বর্তমান এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল, সাবেক মন্ত্রী বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, বনানী থানা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন, বেলকুচি পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী, চৌহালি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার ।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১১ জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, তার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু, বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরু লোদী, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ রহমান, মিল্কভিটার ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট" কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের বড় মেয়ে ডাঃ ফারজানা রহমান সম্পা ও ছোট মেয়ে ফেরদৌসী রহমান শান্তা।