ঢাকা, শুক্রবার ১৯ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

ওবায়দুল কাদের মেরুদণ্ডহীন:কাদের মির্জা

জেলা সংবাদদাতা।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-04-01, 12.00 AM
ওবায়দুল কাদের মেরুদণ্ডহীন:কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে মেরুদণ্ডহীন প্রাণী বলে মন্তব্য করেছেন তারই ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।তিনি বলেছেন, একটা অপ্রিয় সত্য কথা বলতে চাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে যে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। অপরাজনৈতিকদের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে। এজন্য আজকে রাস্তায় মানুষ বলাবলি করে ওবায়দুল কাদের সাহেব নাকি মেরুদণ্ডহীন প্রাণী।বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর রাজনীতির এই দুরবস্থা এবং একরাম চৌধুরীর অপকর্মের জন্য মেরুদণ্ডহীন সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম দায়ী। কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতির আজকের এই অবস্থার জন্য আরেক মেরুদণ্ডহীন সাহাব উদ্দিন দায়ী। এটা অপ্রিয় হলেও সত্য কথা। এটা মানুষের কথা, মানুষের মনের কথা। আমি আ.লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়ে রাজনীতি করব। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলব।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে আজও এক চুল পরিমাণ সরে যায়নি। হেফাজতের উত্থান কিভাবে হয়েছে আপনারা জানেন। আ.লীগের অপরাজনীতির কারণে তাদের উত্থান । আমি স্পষ্ট বলব, আমি আগ থেকেও বলেছি। তারা আজকে এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে মানুষ হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না। দলের এখন সুসময়। বসন্তের কোকিলদের আনাগোনায় ত্যাগীরা হারিয়ে যাচ্ছে।

কাদের মির্জা বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রী সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগান দিয়েছে তার স্বার্থে। যেহেতু সে দুর্নীতিগ্রস্ত, তার দুর্নীতিকে ডাকা দেওয়ার জন্য। আমি যাতে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেত্রীর কাছে, দেশবাসীর কাছে কোন কিছু করতে না পারি। তার স্বার্থে সে আমার বিরোধীতা করছে। আমাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে, কেন আজকে সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমার নেতাকর্মীরা গুলি খেয়ে ঢাকাতে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আপনি তো যাননি, আপনার একটা প্রতিনিধি, নেতাও যায়নি। এটার জবাব একদিন জনগণকে দিতে হবে, আল্লার আদালতে দিতে হবে।