ঢাকা, বুধবার ২৪ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

হরিণ মেরে ভূরিভোজ:কেন্দ্র প্রধান বরখাস্ত

জেলা সংবাদদাতা।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-03-09, 12.00 AM
হরিণ মেরে ভূরিভোজ:কেন্দ্র প্রধান বরখাস্ত

শিকার নিষিদ্ধ সুন্দরবনের হরিণ মেরে ভূরিভোজ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রধান আব্দুল্লাহ আল বাহারাম হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে টহলের দায়িত্বে থাকা অপর তিন জনকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ মার্চ পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী টহল ফাঁড়িতে। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে গঠিত চার সদস্যের কমিটি বিভাগীয় বন সংরক্ষকের (ডিএফও) দফতরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ বহিরাগত কয়েকজন মেহমান পশ্চিম সুন্দরবনের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে বেড়াতে যান। একই কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামের পরিচিত ও নিকটাত্মীয় এসব মেহমানকে আতিথেয়তা দিতে একই দিন অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণ শিকার করে খাওয়ানো হয়। একই কেন্দ্রে বোটম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ফজলুল হক বিষয়টি মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে বিভাগীয় বন সংরক্ষকের দফতরে পৌঁছে দেন।

তথ্যমতে, ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামের নেতৃত্বে রাসেল মিয়া, কালু মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, বাদশা মিয়া, চন্দন কৈরী ও ফজলুল হক পশ্চিম সুন্দরবনের নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাকসহ দুই জন প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে বাইরে থাকার সুযোগে অন্যরা নিজেদের সুরক্ষার কাজে ব্যবহৃত বন্দুক দিয়ে ওই শিকার করে। তবে অভয়ারণ্য কেন্দ্র প্রধান ছাড়া অন্য কারও বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বনকর্মীদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিভাগীয় বন সংরক্ষকের নির্দেশে সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসিএফের নেতৃত্বে তিন স্টেশন অফিসারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার সাসপেন্ড করার বাইরে নতুন কোনও তথ্য আমার জানা নেই।’ কেন্দ্রে ওই সময়ে দায়িত্বরতদের অন্যান্য স্টেশনে বদলি করার তথ্য দেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, ‘এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং আমি অসুস্থ হয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর আজগুবি এসব অভিযোগ তুলে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ বনকর্মীদের মধ্যে দলাদলির কারণে তাকে বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি তার।