ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ই মার্চ ২০২৪ , বাংলা - 

হিমছড়িতে ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দে উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-09-18, 12.00 AM
হিমছড়িতে ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দে উদ্বেগ

কক্সবাজারের হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ৭০০ একর সংরক্ষিত বনভূমি প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মুহাম্মদ বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারের ঝিলংজায় হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত ৭০০ একর গেজেটভুক্ত সংরক্ষিত বনভূমি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ একাডেমির ভবন নির্মাণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মতামত উপেক্ষা করে প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য অকৃষি ও খাস জমি দেখিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় এই বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়া উভয় কর্মকাণ্ডই দেশের বিদ্যমান জাতীয় বন নীতি ১৯৯৪, বন আইন ১৯২৭, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ সহ পরিবেশগত বিভিন্ন বিধিমালার পরিপন্থী। তাই এ ধরনের কাজে বনভূমি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।

এতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা একসময় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতির আবাসস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এছাড়াও এ বনভূমি সাইক্লোনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষায় অশেষ অবদান রাখে। কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মানবিক ও কৌশলগত কারণে সরকারকে জেলার ছয় হাজার একরেরও বেশি বনভূমি বন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দিতে হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণ একাডেমির ভবন নির্মাণের নামে ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া হলে তা নিশ্চিতভাবে পরিবেশগত মহা বিপর্যয় ডেকে আনবে।

একইভাবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের নামে আরও বনভূমি ধ্বংসে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে বনভূমি ও পরিবেশ রক্ষা করা আরও দুরূহ হয়ে পড়বে।এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, প্রধান বন সংরক্ষক ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।