ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ই মার্চ ২০২৪ , বাংলা - 

স্বাধীনতার মূল ব্যাক্তিকে বাদ দেওয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-06-19, 12.00 AM
স্বাধীনতার মূল ব্যাক্তিকে বাদ দেওয়া হচ্ছে

বাংলাদেশ এখন আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেছেন, দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার ফলে যখন একজন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন, কিন্তু তার কথা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না বিএনপি বা আওয়ামী লীগে থাকার কারণে। এই বিষয়গুলো থেকে আমাদের বোধহয় বেরিয়ে আসা দরকার।শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল আয়োজিত একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন প্রজন্ম যারা জিয়াউর রহমানকে চেনেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানে না। এখন তাদের কাছে যেটা শেখানো হচ্ছে, জানানো হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ একটি বিকৃত ইতিহাস। যখন মানুষ আশা করছে স্বাধীনতার ঘোষণা হবে, যাদের দায়িত্ব ছিল এই স্বাধীনতার ঘোষণা করা তারা কেউ ঘোষণা করেননি। তাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেছিলেন, আবার কেউ পালিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি (জিয়াউর রহমান) সেই ঘোষণা (স্বাধীনতার ঘোষণা) দিয়ে গোটা জাতিকে স্বাধীনতার যুদ্ধে নেমে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এটা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তখন উনি কোন পলিটিকাল লিডার ছিলেন না, তার উপর কোনো দায়িত্বও ছিল না। ওই সময় উনার মধ্যে জাগ্রত হল দিস ইজ দ্য টাইম, উই মাস্ট রিভল্ট পাকিস্তানি আর্মি। এখানে কিন্তু নেতৃত্বের ব্যাপারটা এসে যায়।

বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সেটি হচ্ছে— জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন না। অনেকে বলেন মুক্তিযুদ্ধ করেননি, অনেকে বলে পাকিস্তানের অনুচর ছিলেন। বিভিন্ন ভাবে তাকে একটা খলনায়কে পরিণত করতে চায়। অনেক বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের শিখানো হয় জিয়াউর রহমান একজন কিলার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে নাকি জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। আমরা যারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি, আজকে ওটাকে কাউন্টার করতে হবে। এটাতো সঠিক নয় উপরন্তু তারা মিথ্যা বলছে। তারা কেন বলছে, কি কারণে বলছে, এটিও আমাদের বুঝতে হবে।

যার যেটা পাওনা, সেটা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি কখনোই কাউকে ছোট করতে চাই না। যার যেটা পাওনা, সেটা তাকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। মহান স্বাধীনতার মূল কাজ যিনি করলেন, তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, একজন মানুষ ছাড়া তাদের কোনো মানুষই নেই। এটাই হচ্ছে ইতিহাস। জন্মশতবার্ষিকীর সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী আছে, আপনারা কি সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কোন অনুষ্ঠান দেখতে, শুনতে পান? প্রথম একদিন করেছে তারপর আর আমরা কিছু দেখতে পাইনি। কিন্তু জন্মজয়ন্তী কিন্তু চলছে। এখনো সারা বাংলাদেশ জুড়ে পোস্টার ছড়িয়ে রাখা আছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই— একটামাত্র মানুষ, একটা মাত্রই নেতা। আগে ছিল এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এখন কিন্তু ওটা পরিবর্তন হয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এসে গেছে।

বর্তমান ছাত্রদের মধ্যে রাজনীতি করতে অনেক অনীহা সেই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই কিন্তু ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি। তখনকার ছাত্রসমাজ এতো সমাজ সচেতন ছিল, এতো বেশি রাজনৈতিক সচেতন ছিল তাদের মাধ্যমে কিন্তু এদেশে বড় বড় পরিবর্তনগুলো সম্ভব হয়েছে।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ এখন আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার ফলে যখন একজন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন, কিন্তু তার কথা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না বিএনপি বা আওয়ামী লীগে থাকার কারণে। এই বিষয়গুলো থেকে আমাদের বোধহয় বেরিয়ে আসা দরকার।

শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল আয়োজিত একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন প্রজন্ম যারা জিয়াউর রহমানকে চেনেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জানে না। এখন তাদের কাছে যেটা শেখানো হচ্ছে, জানানো হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ একটি বিকৃত ইতিহাস। যখন মানুষ আশা করছে স্বাধীনতার ঘোষণা হবে, যাদের দায়িত্ব ছিল এই স্বাধীনতার ঘোষণা করা তারা কেউ ঘোষণা করেননি। তাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেছিলেন, আবার কেউ পালিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি (জিয়াউর রহমান) সেই ঘোষণা (স্বাধীনতার ঘোষণা) দিয়ে গোটা জাতিকে স্বাধীনতার যুদ্ধে নেমে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এটা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তখন উনি কোন পলিটিকাল লিডার ছিলেন না, তার উপর কোনো দায়িত্বও ছিল না। ওই সময় উনার মধ্যে জাগ্রত হল দিস ইজ দ্য টাইম, উই মাস্ট রিভল্ট পাকিস্তানি আর্মি। এখানে কিন্তু নেতৃত্বের ব্যাপারটা এসে যায়।

বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সেটি হচ্ছে— জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন না। অনেকে বলেন মুক্তিযুদ্ধ করেননি, অনেকে বলে পাকিস্তানের অনুচর ছিলেন। বিভিন্ন ভাবে তাকে একটা খলনায়কে পরিণত করতে চায়। অনেক বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের শিখানো হয় জিয়াউর রহমান একজন কিলার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে নাকি জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। আমরা যারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি, আজকে ওটাকে কাউন্টার করতে হবে। এটাতো সঠিক নয় উপরন্তু তারা মিথ্যা বলছে। তারা কেন বলছে, কি কারণে বলছে, এটিও আমাদের বুঝতে হবে।

যার যেটা পাওনা, সেটা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি কখনোই কাউকে ছোট করতে চাই না। যার যেটা পাওনা, সেটা তাকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে। মহান স্বাধীনতার মূল কাজ যিনি করলেন, তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, একজন মানুষ ছাড়া তাদের কোনো মানুষই নেই। এটাই হচ্ছে ইতিহাস। জন্মশতবার্ষিকীর সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী আছে, আপনারা কি সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কোন অনুষ্ঠান দেখতে, শুনতে পান? প্রথম একদিন করেছে তারপর আর আমরা কিছু দেখতে পাইনি। কিন্তু জন্মজয়ন্তী কিন্তু চলছে। এখনো সারা বাংলাদেশ জুড়ে পোস্টার ছড়িয়ে রাখা আছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই— একটামাত্র মানুষ, একটা মাত্রই নেতা। আগে ছিল এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এখন কিন্তু ওটা পরিবর্তন হয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এসে গেছে।

বর্তমান ছাত্রদের মধ্যে রাজনীতি করতে অনেক অনীহা সেই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই কিন্তু ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি। তখনকার ছাত্রসমাজ এতো সমাজ সচেতন ছিল, এতো বেশি রাজনৈতিক সচেতন ছিল তাদের মাধ্যমে কিন্তু এদেশে বড় বড় পরিবর্তনগুলো সম্ভব হয়েছে।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।